কোহলিকে প্রথম বলে ফিরিয়ে আবেগে ভাসছেন অ্যান্ডারসন

অফ স্টাম্প ঘেঁষা বল পিচ করল সিমে। ভেতরে ঢুকবে বলে ব্যাট পেতে দিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু বল হালকা বাইরে বেরিয়ে ব্যাটে আলতো চুমু দিয়ে আশ্রয় নিল কিপার জস বাটলারের গ্লাভসে। ‘গোল্ডেন ডাক’ পেয়ে কোহলি তাকিয়ে রইলেন হতাশায়। আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। তার সেই উচ্ছ্বাসের রেশ রইল দিনের খেলা শেষেও।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2021, 05:45 AM
Updated : 6 August 2021, 05:45 AM

অ্যান্ডারসন-কোহলির দ্বৈরথের নতুন পর্ব শুরু হলো টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসারের জয় দিয়ে। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার ভারতীয় অধিনায়ক আউট হন প্রথম বলেই।

এই দ্বৈরথের প্রথম পর্ব ছিল ভারতের ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে। সেবার বিভীষিকাময় সফরে অ্যান্ডারসনের ৫০ বল খেলে ১৯ রান করতে চারবার আউট হয়েছিলেন কোহলি। পাশার দান উল্টে দিন তিনি ২০১৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে। সেবার সিরিজের সফলতম ব্যাটসম্যান হওয়ার পথে অভুক্তই রাখেন তিনি অ্যান্ডারসনকে। এই পেসারের ২৭০ বল খেলে ১১৪ রান করেন, আউট হননি একবারও।

এবার আবার অ্যান্ডারসনের হাসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিই একমাত্র বোলার, কোহলিকে যিনি শূন্য রানে আউট করলেন দুইবার। আগেরটি ছিল ২০১৪ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।

বয়স ৩৯ পেরিয়ে গেলেও তার ধার যে এখন দারুণ, অ্যান্ডারসন তা প্রমাণ করেন আরেকবার। বৃষিবিঘ্নিত দিনশেষে তার বোলিং ফিগার ১৩.৪-৭-১৫-২! তবে কোহলিকে এত দ্রুত ফেরাতে পেরে নিজেও চমকে গেছেন খানিকটা।

“এই জায়গাটায় (অফ স্টাম্প ঘেঁষে) আগেও আমি চ্যালেঞ্জ করেছি বিরাটকে। সে কখনও খেলেছে, কখনও ছেড়েছে, কখনও পরাস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ সময়ই সে সামলে নিয়েছে দারুণভাবে। তবে আজকে সেই দিন, যেদিন তার ব্যাটের কানা ছুঁয়েছে বল। কোহলিকে এত দ্রুত আউট করতে পারা কিছুটা অস্বাভাবিকই।”

ভারতীয় ব্যাটিংয়ের আরেক ভরসা চেতেশ্বর পুজারাকে আউট করার পরের বলেই কোহলিকে শিকার করে অ্যান্ডারসন মেতে ওঠেন বাঁধভাঙা উদযাপনে। ১৮৩ রানে অলআউট হওয়া দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে পারা তাকে দিচ্ছে তৃপ্তি। 

“তার (কোহলি) উইকেট সবসময়ই বড়। যে জায়গায়টায় বল করতে চেয়েছি, ঠিক সেখানেই বল রাখতে পারা, তার ব্যাটের কানা নেওয়া… সব মিলিয়ে দলকে খেলায় ফেরাতে পারার উচ্ছ্বসিত আবেগের প্রকাশ ছিল সেটি। ওদের সেরা ক্রিকেটারদের এত দ্রুত ফেরানো সবসময় হয়ে ওঠে না।”