‘বাংলাদেশ বেশি স্মার্ট’, উপলব্ধি অস্ট্রেলিয়ানদের

প্রথম ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড বলেছিলেন, বাংলাদেশের স্পিন সামলাতে সাহসী ও স্মার্ট হতে হবে। সেই চেষ্টাও তারা করেছে দ্বিতীয় ম্যাচে। কিন্তু তাদের ব্যাটিং যথারীতি ভুগেছে আবার। সঙ্গী হয়েছে আরেকটি পরাজয়। দলের সহ-অধিনায়ক মোইজেস হেনরিকেস ম্যাচ শেষে বলছেন, তারা স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু বাংলাদেশ ছিল আরও বেশি স্মার্ট!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2021, 04:36 AM
Updated : 5 August 2021, 04:34 PM

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস ভাগ্যকে পাশে পায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিন আগে বোলিং করলেও বুধবার তারা নামে আগে ব্যাটিংয়ে। দেড়শর কাছাকাছি রান তোলার সম্ভাবনাও জাগায় এক পর্যায়ে। তবে শেষ পর্যন্ত আটকে যায় ১২১ রানে।

পরে বোলিংয়েও তারা কিছুটা বিপাকে ফেলতে পারে বাংলাদেশকে। কিন্তু আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের দারুণ জুটিতে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জিতে যায় বেশ দাপটেই।

“সত্যি বলতে, আমার মনে হয়, আজকে ওরা আমাদের চেয়ে একটু বেশি স্মার্ট ছিল। ওদের ক্রিকেট বুদ্ধিমত্তা ছিল সম্ভবত বেশি। বর্ষা মৌসুমে ওরা এই উইকেটে বেশি খেলেছে, এই অভিজ্ঞতাও সম্ভবত ওদের সাহায্য করেছে।”

“তরুণ একটা দল নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। অনেকেই আছে, যাদেরকে আমি মনে করি, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অনেক ম্যাচ খেলবে ভবিষ্যতে। তারা যদি এই কন্ডিশনে সফল হওয়ার পথ বের করতে পারে, আমার মনে হয় না, দেশের বাইরে এর চেয়ে কঠিন উইকেট ও মাঠ তারা পাবে।”

ক্রিকেট মস্তিষ্কের লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা স্বয়ং হেনরিকেসেরও হয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচে। দারুণ ব্যাট করছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। মিচেল মার্শের সঙ্গে তার জুটিও জমে ওঠে বেশ। কিন্তু তার ব্যাটিংয়ের ধরন আর মনোভাব বুঝে সাকিব আল হাসান একটি বল দেন বাতাসে ভাসিয়ে, অনেকটা ঝুলিয়ে। ফ্লাইটে বিভ্রান্ত হেনরিকেস সুইপের চেষ্টায় আগেই ব্যাট চালিয়ে আউট হন ২৫ বলে ৩০ রান করে।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বাংলাদেশে এই প্রথম খেলছেন হেনরিকেস। এখানে আসার আগে তার মনে হয়েছিল, ভারতে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা তার কাজে লাগতে পারে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন, পাশাপাশি দুটি দেশ হলেও মিরপুরের উইকেট কতটা আলাদা।

“আইপিএলে আমি ৬০টি ম্যাচ খেলেছি, কিন্তু এখানকার উইকেটে খেলে…আমার অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে প্রতিকূল ও বিরুদ্ধ।”

“এখানে মানিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার এবং আরেকটু দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে আমাদের, এটা নিশ্চিত। অজুহাতের কিছু নেই এখানে। এই পরীক্ষায় পড়াটা আমাদের জন্য দারুণ, কারণ আমার মনে হয় না, দেশের বাইরে এর চেয়ে ভিন্ন বা উল্টো কন্ডিশন আমরা আর পাব।”

“অদ্ভুত একটা কোমলতা আছে এই উইকেটের, ওরা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে। পাওয়ার প্লেতে প্রায় ৬ ওভারই ওরা স্পিন দিয়ে চালিয়েছে এটা জেনেই যে বছরের এই সময়টায় উইকেট কেমন থাকে, কতটা ভেজা থাকে। উইকেটের আচরণ জানার সুবিধা তারা পেয়েছে। আমরা ভাবতেও পারিনি, উইকেট এরকম হবে।”

“তবে এখন আমরা জানি উইকেট কেমন। কিছু ব্যাপার অবশ্যই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কিন্তু নিজেদের পারফরম্যান্সের পর্যালোচনা আমরা করতে পারি এবং এমন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে পারি, যা পরের তিন ম্যাচে আমাদেরকে লক্ষ্য ছুঁতে সাহায্য করবে।”

সেই পরিকল্পনা দ্রুতই করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তাদের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই শুক্রবার। খেলা শুরু যথারীতি সন্ধ্যা ৬টায়।