ম্যাচ শেষ করার প্রত্যয় ছিল আফিফের

ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল বিরুদ্ধ। সামনের পথ ছিল ভীষণ কঠিন। কিন্তু আফিফ হোসেনের মনে ছিল বিশ্বাস। যত কঠিন চ্যালেঞ্জই হোক, ফিরবেন জয় করে। তার সেই প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন পড়েছে ২২ গজে। দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে জিতিয়ে ফিরেছেন তিনি মাথা উঁচু করে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2021, 05:08 PM
Updated : 4 August 2021, 05:37 PM

৩১ বলে ৩৭, সংখ্যার বিচারে এমন কিছু নয়। কিন্তু ম্যাচের প্রেক্ষাপটে মহামূল্য। এই ইনিংস খেলেই আফিফ ম্যাচের নায়ক। রান তাড়ায় নড়বড়ে দলকে ভরসা জোগায় তার এই ইনিংস ও নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ।

আফিফ যখন উইকেটে যান, পরপর দুই ওভারে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে দল তখন চাপে। একটু পর বিদায় নেন মেহেদি হাসানও। ১২২ রান তাড়ায় বাংলাদেশের রান তখন ৫ উইকেটে ৬৭।

ম্যাচ তখনও দোদুল্যমান। হয়তো একটু হেলে অস্ট্রেলিয়ার দিকেই। তবে ম্যাচের পর আফিফ জানালেন, দলকে জেতানোর বিশ্বাস নিয়েই নেমেছিলেন।

“মাঠে নামার সময় রিয়াদ ভাইয়ের থেকে একটিই ম্যাসেজ ছিল যে যাওয়ার পর যেন দুই-তিন ওভার নরম্যাল খেলি। আমার পরিকল্পনা ছিল যেন শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারি এবং ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারি।”

“ব্যাটিংয়ে নামার পর চেষ্টা করেছি উইকেট মূল্যায়ন করার। উইকেটের আচরণ কেমন, সেটা খেয়াল রেখে যেন উইকেট না দিয়ে থাকতে পারি (ক্রিজে)… শেষ পর্যন্ত যদি খেলতে পারি, আমার বিশ্বাস ছিল যে রানরেটই প্রয়োজন হোক না কেন, আমি ভালোভাবে শেষ করতে পারব।”

সেটা তিনি পেরেছেন দারুণভাবেই। ৪৪ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বড় অবদান রাখেন সোহানও। তাকে প্রাপ্য কৃতিত্বটুকু দিতেও ভুললেন না আফিফ।

“সোহান ভাই খুবই ভালো ব্যাট করেছে। আমাদের দুজনের পরিকল্পনা ছিল যে উইকেট দেব না। বল টু বল রান দরকার ছিল তখন। তো উইকেট না দিয়ে রান কিভাবে করা যায়, সেই চেষ্টা করছিলাম। অপর পাশ থেকে ভালো সমর্থন পাওয়ায় আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি।”

বয়স তার মোটে ২১। অভিজ্ঞতাও নয় খুব বেশি। কিন্তু এদিন ব্যাট করেছেন অভিজ্ঞ কোনো ব্যাটসম্যানের মতো। খেলেছেন পরিণত এক ইনিংস। আফিফ অবশ্য তারুণ্যকে কোনো বাধা মানতেই নারাজ।

“তরুণ হই বা অন্য কিছু, দলের জন্য কাজটি করতে হবে আমার। এটিই আমার দায়িত্ব।”