অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক নাসুম। ক্যারিয়ারের পঞ্চম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ এই বাঁহাতি স্পিনার।
তবে শুরুটা তার ভালো ছিল না। ১৩১ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট এনে দেন মেহেদি হাসান। পরের ওভারের দ্বিতীয় বল নাসুম করেন একটু খাটো লেংথে। দারুণ টাইমিংয়ে পুল করে ছক্কায় ওড়ান জশ ফিলিপি। পরের বলে আসে দুই রান। ব্যস, ফিলিপির ঝলক শেষ ওখানেই।
লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জেতেন নাসুমই। পরের বলেই তার ফ্লাইট, লুপ ও টার্নে বিভ্রান্ত ফিলিপি স্টাম্পড হয়ে যান।
ম্যাচের পর নাসুম জানালেন, দৃশ্যপটে সাকিবের আবির্ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেন তিনি।
“যখন আমরা ১৩১ করেছি তখন নামার আগে রিয়াদ ভাই (অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ) বলছিলেন যে, আমরা এই রানেই লড়াই করব। ডট বল করব। যতটুক পারি, চেষ্টা করব জেতার জন্য। ওই ডট বলের চিন্তাই করছিলাম।”
“প্রথম যে দুটি বল করেছি, ব্যাক অব লেংথে। তখন সাকিব ভাই বলেছেন যে, এখানে আস্তে বল ভালো, সামনে বল করতে হবে।”
নাসুম পরে ম্যাথু ওয়েডকে ফিরিয়ে ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ গড়া জুটি। মিডল অর্ডারে ফেরান অ্যাশটন অ্যাগারকে। পরে শেষ বাধা হয়ে থাকা মিচেল মার্শও তারই শিকার।
নাসুম অবশ্য বললেন, তার চেষ্টা ছিল কেবল রান আটকানো। সেই প্রক্রিয়ায় ধরা দিয়েছে উইকেট।
“আমাদের লক্ষ্য ছিল রান চেক দিয়ে বল করা, ডট বল করা। ওটাই চেষ্টা করেছি, উইকেট পেয়ে গেছি।”
“রিয়াদ ভাই ও সাকিব ভাই, দুজন মিলে আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন, যখনই বোলিং করতে গিয়েছি, আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি।”
এই ম্যাচের আগে নাসুম মাঠে নেমেছিলেন জিম্বাবুয়ে সফরে শেষ টি-টোয়েন্টিতে। সেদিন তার অভিজ্ঞতা ছিল উল্টো। ৩ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৩৭! এই ম্যাচে তাই ভালো করতে মুখিয়ে ছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই স্পিনার।
“কালকে যখন নেটে বল করছিলাম, তখন কোচ আমাকে বললেন যে, ‘কাল তুমি খেলবে, তোমার ওপর অনেক দায়িত্ব।’ তখন থেকে আমি ভাবছিলাম খেললে কী করব। অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম…শেষ একটা ম্যাচে একটু বাজে বল করেছি। তাই একটু চিন্তিত ছিলাম।”