মিরপুরের উইকেট নিয়ে নানা সময়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়ে আসছে অনেক। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তি নিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক ক্রিকেটার প্রকাশ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এখানকার উইকেটের মান। তবে উইকেটের চরিত্রে বদল দেখা গেছে কম সময়ই।
এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে এই উইকেটকেই অনেকে মনে করছেন বাংলাদেশের বড় সহায়। এই ধরনের উইকেটে অভ্যস্ত নন অস্ট্রেলিয়ানরা।
তবে ডমিঙ্গো শুধু এই সিরিজে নয়, তাকিয়ে আছেন আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ হবে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। উইকেট সেখানে বেশির ভাগ সময়ই থাকে ব্যাটিং সহায়ক। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রোববার বাংলাদেশ কোচ জানালেন উইকেট নিয়ে তার ভাবনা।
“আমার মনে হয়, আমরা ভালো উইকেটে খেলতে যাচ্ছি। কোনো সংশয় নেই যে, এখানে উইকেট আমাদের বেশি সহায়তা করবে দেশের বাইরে খেলার চেয়ে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ভালো উইকেটে খেলা উচিত। কারণ বিশ্বকাপে আমরা এই ধরনের উইকেটেই খেলব। আমি তাই মোটামুটি নিশ্চিত যে, এই সিরিজে ভালো উইকেট পেতে যাচ্ছি।”
ই সিরিজে সাত দিনের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে দুই দল। এক উইকেটে একাধিকবার খেলতে পরের দিকে তা স্পিন সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। ডমিঙ্গোও সেই বাস্তবতা মানছেন। তবে আবহাওয়ার দিকেও তিনি চোখ রাখতে বলছেন। সব মিলিয়ে ভালো ক্রিকেট উইকেটই তার চাওয়া।
“পরের দিকে হতে পারে (স্পিনিং উইকেট)। কারণ পিঠেপিঠি ম্যাচ খেলব। কিন্তু সেটা না হওয়া পর্যন্ত তো বলা যাবে না।
“ভালো উইকেটে খেলতে হবে আমাদের। কারণ দেশের বাইরে বিশ্বকাপ আমাদের সামনে। এই সিরিজে তাই উইকেটকে খুব বড় ব্যাপার মনে করি না আমি। আমার মনে হয় না, এখানে বল অনেক স্পিন করবে। এই মূহুর্তে বেশ ভালো উইকেটই মনে হচ্ছে। অনেক বৃষ্টিও হচ্ছে। ম্যাচের দুই দিন আগেও আকাশ অনেক মেঘলা। উইকেটে তাই আর্দ্রতাও অনেক থাকবে। আমার মনে হয় না, আগে থেকেই এটা ধারণা করে রাখার প্রয়োজন আছে যে স্পিনিং উইকেট হবে। খুব ভালো টি-টোয়েন্টি উইকেটই হবে।”