কাশ্মীরে খেললে ‘ভারতে প্রবেশ বন্ধ’ গিবসের

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান-ভারতের দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ছে ক্রিকেট আঙিনায়ও। যা পছন্দ হচ্ছে না হার্শেল গিবসের। কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগে (কেপিএল) খেললে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না, বিসিসিআই থেকে এমন হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটসম্যান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2021, 01:55 PM
Updated : 31 July 2021, 02:19 PM

ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরপরই কাশ্মীর রাজ্যটি নিয়ে বিরোধে জড়ায় ভারত ও পাকিস্তান। উভয় দেশই হিমালয়ের ওই পুরো অঞ্চলটিকে নিজের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। কিন্তু এর কিছু অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে এবং কিছু অংশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে শুরু হবে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগের প্রথম আসর। যা চলবে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত। ম্যাচগুলো হবে কাশ্মীরের মুজাফফারাবাদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

ইমাদ ওয়াসিমের নেতৃত্বাধীন ওভারসিস ওয়ারিয়র্সের হয়ে এবারের আসরে খেলার কথা রয়েছে গিবসের। কিন্তু গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ভারতে লেজেন্ডসদের টুর্নামেন্টে খেলা এই ব্যাটসম্যানকে কেপিএলে খেলতে বারণ করছে বিসিসিআই। শনিবার টুইট করে ৪৭ বছর বয়সী গিবস এ নিয়ে তার অসন্তুষ্টির কথা জানান।

“পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়াদি এখানে টেনে আনা এবং কেপিএলে (কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ) বিসিসিআইয়ের আমাকে খেলতে বাধা দেওয়ার কোনো দরকার ছিল না। আমাকে এটা বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে, ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো কাজে তারা আমাকে ভারতে ঢুকতে দিবে না। হাস্যকর।”

শুধু গিবসই নন, সাবেক অনেক ক্রিকেটারই দল পেয়েছেন কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশান, ইংল্যান্ডের ম্যাট প্রায়র, মন্টি পানেসার, ফিল মাসটার্ড ও ওয়াইস শাহ খেলবেন এখানে।

এসব খেলোয়াড়দের এখানে খেলতে না দিতে তাদের বোর্ডগুলোকেও নাকি বিসিসিআই হুঁশিয়ার করেছে, এমন অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) শনিবার এক বিবৃতিতে বিসিসিআইয়ের প্রতি তাদের অসন্তোষের কথা জানায়। এমন আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, ক্রিকেটের চেতনার বিরোধী বলে অবিহিত করে পিসিবি। যা সহ্য করা বা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন বলে জানায় তারা। এমনকি আইসিসির ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা উঠানোর বিষয়টিও বিবৃতিতে উল্লেখ করে পাকিস্তানের বোর্ড।