মূল ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ড সফরে থাকায় অন্য একটি দলকে শ্রীলঙ্কা সফরে পাঠায় ভারত, যে দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন দ্রাবিড়। এমনিতে তিনি ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান। সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
তবে ভারতের জাতীয় দলের দায়িত্ব তাকে দেওয়া নিয়ে আলোচনা অনেক দিনের। ২০১৬ সালে যখন অনিল কুম্বলে কোচের দায়িত্ব পেলেন, তখন বোর্ডের প্রথম পছন্দ ছিলেন দ্রাবিড়ই। কিন্তু সবিনয়ে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। পরের বছর যখন কুম্বলের দায়িত্ব শেষ হলো বিতর্কিতভাবে, আবারও ডাক পড়ে দ্রাবিড়ের।
এবারও দ্রাবিড় তা ফিরিয়ে দেন। তরুণ ও উঠতি ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করা, ভবিষ্যতের জন্য তাদের তৈরি করে দেওয়ার কাজটিই তার কাছে উপভোগ্য বলে বরাবরই জানান তিনি। এবার পরিস্থিতির কারণে শ্রীলঙ্কাতে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করলেও দলটি মূলত ছিল উঠতি ক্রিকেটারদের নিয়েই গড়া।
এই সিরিজ শেষে আলোচিত প্রসঙ্গটি উঠল আবার। যদি সুযোগ আসে মূল দলের প্রধান কোচ হওয়ার? দ্রাবিড় বললেন, তার ভাবনার সীমায় এটা নেই।
“সত্যি বলতে, দূরের কিছু আমি এখনও ভাবিনি। একদমই না। এখন যা করছি, এটাই উপভোগ করছি। এই সফর পার করা, এই সিরিজ ছাড়া অন্য কিছু আমার ভাবনায় ছিল না।”
“এবার এখানে এই অভিজ্ঞতা (প্রধান কোচ) উপভোগ করেছি আমি। এই ছেলেদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লেগেছে। দারুণ অভিজ্ঞতা। কিন্তু অন্য কোনো কিছু নিয়ে কিছুই ভাবিনি। পূর্ণকালীন প্রধান কোচের দায়িত্বে চ্যালেঞ্জ অনেক। আমি তাই জানি না…।”
বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রি দায়িত্বে সাফল্য কম আসেনি ভারতের। তবে আইসিসি আসরে শিরোপা ধরা দিচ্ছে না। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার পর এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও হেরেছে ভারত।
আরেকটি ব্যাপারও আলোচনায় উঠে আসছে বারবার। ৬০ বছর বয়সের বেশি কাউকে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব না দেওয়ার নিয়ম করেছে বিসিসিআই। শাস্ত্রি ৫৯ পেরিয়ে গেছেন। যদিও প্রয়োজন পড়লে বয়সের এই নিয়ম বদলাতে সময় লাগবে না। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের পারফরম্যান্সের ওপর অনেকটা নির্ভর করতে পারে শাস্ত্রির ভাগ্য।