চলতি টোকিও অলিম্পিকসে মেয়েদের টেনিসের তৃতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে যান জাপানের ভরসা ওসাকা। চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা পরে জানান প্রচণ্ড মানসিক চাপের কথা। ছয়টি সোনার স্বপ্ন নিয়ে টোকিতেও আসা যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট বাইলস প্রথম ইভেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে বাজে পারফরম্যান্সে। পরে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য একে একে সরে দাঁড়ান তিনি আরও তিনটি ইভেন্ট থেকে। বাকি দুটি ইভেন্টেও অংশ নেওয়া তার অনিশ্চিত।
এসবের রেশের মধ্যেই আলোচনার জন্ম দিল স্টোকসের বিরতি। আঙুলের চোট নিয়ে ভুগছিলেন, সঙ্গে মনের চোটও তীব্র হয়ে ওঠে। ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ সিরিজের ঠিক আগে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
ক্রিকেটারদের টানা খেলার মানসিক ধকল নিয়ে এমনিতেই আলোচনা ছিল অনেক দিন থেকে। গত এক বছরে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে মহামারীকালের জৈব-সুরক্ষা বলয়।
ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে থাকা সাঙ্গাকারা স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলোচনায় তুলে ধরলেন ক্রীড়াবিদদের কঠিন বাস্তবতা।
“মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতার ব্যাপারটি নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলোয়াড়রা অনেকেই বলছেন… কোভিডের প্রভাব, এটির চাপ এবং পাদপ্রদীপের আলোয় থাকার চাপ তো আছেই। সব কিছু মিলিয়েই তারা এরকম কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটে।”
গত এক বছরে সুরক্ষা বলয়ে অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছে স্টোকসকে। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন, আইপিএলে খেলেছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। ক্যান্সার আক্রান্ত বাবার পাশে থাকার জন্য নিউ জিল্যান্ডে যেতে হওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারেননি। পরে বাবাকে হারান তিনি।
আঙুলের চোটও এই গ্রীষ্মে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লাগছিল চোট সারতে।
এই সবকিছু তুলে ধরে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক পিটারসেন শুভ কামনা জানালেন স্টোকসকে।
“আশা করি সে ঠিক থাকবে… সে অসাধারণ ক্রিকেটার, বর্তমান বিশ্বের সেরাদের একজন। বাবাকে হারিয়েছে সে, গত এক বছরে তাকে অনেক কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।”
ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু আগামী বুধবার। এরপর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সীমিত ওভারের ক্রিকেট সফর আছে ইংল্যান্ডের। পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ।