ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘটনায় সতর্ক বিসিবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাপোর্ট স্টাফের একজন কোভিড পজিটিভ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের সিরিজ ভেস্তে যেতে বসেছিল। পরে ওলট-পালট হয় সূচি। বাংলাদেশে যেন তেমন কিছু না হয়, জৈব-সুরক্ষা বলয় নিয়ে তাই সাবধানতার কমতি রাখছে না বিসিবি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2021, 03:35 PM
Updated : 30 July 2021, 03:35 PM

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সুরক্ষা বলয়ের কড়াকড়ি নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক। এই ডামাডোলে অনেকটাই আড়ালে পড়ে থাকছে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি। জিম্বাবুয়েতে এক মাস সুরক্ষা-বলয়ে খেলে দেশে ফিরেই আবার বলয়ে ঢুকতে হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ মেলেনি।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ হওয়ার পর সেপ্টেম্বরের শুরুতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে আসবে নিউ জিল্যান্ড। ওই মাসেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসবে ইংল্যান্ড। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টানা সুরক্ষা বলয়ের জীবন। তাই ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের বলয়ে রাখার অনুমতি দেওয়া যায় কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি।

তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের অভিজ্ঞতার পর কোনো ঝুঁকির সুযোগ তারা দেখছেন না।

“বায়ো-বাবলের মধ্যে খেলোয়াড়রা বিরতি পাবে (এক সিরিজ থেকে আরেক সিরিজে)। বায়ো-বাবল সুনিশ্চিত করা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। মানুষ যত বাড়বে (তত কঠিন)…তাদের টেস্টিং প্রটোকল আছে। নির্দিষ্ট দিনে সবার করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। তাদের নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে ইভেন্ট আয়োজিত হয়।”

“ওয়েস্ট ইন্ডিজে দেখুন, একজন সাপোর্ট স্টাফ আক্রান্ত হওয়ায় পুরো সিরিজ পিছিয়ে যায়। সেই ধরনের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাই মানুষের সংখ্যা যত কম রাখা যায়, তত ভালো।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের সাপোর্ট স্টাফের একজন পজিটিভ হলে টসের পর স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচ। আইসোলেশনে যেতে হয় সিরিজ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। পরে সবাই আবার পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পর বাকি ম্যাচগুলি পিছিয়ে যায় দু্ই দিন করে। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৭ দিনের মধ্যে হবে ৫ ম্যাচ। ঠাসা সূচিতে ম্যাচ পেছানো কঠিনই হবে।

বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসার জন্য সুরক্ষা বলয়ের কঠিন যেসব শর্ত দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ তার চেয়ে বেশি দিয়েছে বলেই মনে করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।

“আমার মনে হয় তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, তা তাদের প্রত্যাশারও বেশি। তাদের যে ইনফরমেশন পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে তারা এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে খুশি। বিশেষ করে ওদের প্রথম যে শর্ত ছিল, এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যাওয়া পর্যন্ত এবং হোটেলের পরিবেশ, সবকিছু নিয়ে খুশি আছে বলে মনে করি।”

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া, দুই দলই এখন টিম হোটেলে কোয়ারেন্টিনে আছে। শনিবার শেষ হবে কোয়ারেন্টিন পর্ব। এরপর কোভিড পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ হলে রোববার থেকে তারা শুরু করতে পারবে অনুশীলন। মঙ্গলবার থেকে শুরু মাঠের লড়াই।