হেনড্রিকের ‘ফ্লাইট’ ছেড়েই দিল

অন্ত্রের ক্যান্সারের সঙ্গে তুমুল লড়াই করছিলেন মাইক হেনড্রিক। এই মাসেই দা টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখন বহির্গমন লাউঞ্জে আছি। তবে ফ্লাইট এখনও ছাড়েনি।” অবশেষে তার সেই ফ্লাইট উড়াল দেওয়ার সময় চলেই এলো। ৭২ বছর বয়সে মঙ্গলবার পরপারে পাড়ি জমালেন সাবেক এই ইংলিশ পেসার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2021, 05:32 AM
Updated : 28 July 2021, 08:27 AM

১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ৩০ টেস্ট ও ২২ ওয়ানডে খেলেন হেনড্রিক। টেস্টে তার উইকেট ৮৭টি, ওয়ানডেতে ৩৫টি। অন্যরকম একটি রেকর্ড আছে তার, কখনও ৫ উইকেট না নিয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট!

এই রেকর্ড যেমন বলছে, তাকে সেরকমই দুর্ভাগা বোলার মনে করা হয়। তার লাইন-লেংথ ছিল নিখুঁত, সিম মুভমেন্ট দারুণ। উচ্চতার কারণে বাড়তি বাউন্সও পেতেন। তবে বব উইলিস, ইয়ান বোথামদের কারণে তাকে আড়ালে থাকতে হয়েছে। অনেক সময় নতুন বল পাননি।

এছাড়াও অসংখ্যবার ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করলেও অল্পের জন্য ব্যাটের কানা নিতে পারেনি বল। তার টেস্ট বোলিং গড় ২৫.৮৩ এমনকি বোথাম, জন স্নো, হ্যারল্ড লারউড, ড্যারেন গফদের চেয়েও ভালো।

হেনড্রিকের ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ বলা যায় ১৯৭৭ অ্যাশেজের হেডিংলি টেস্ট। ম্যাচে তার ৮ উইকেটের সৌজন্যে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করে ইংল্যান্ড। তবে সেবারও তাকে আড়ালে পড়ে থাকতে হয় জেফ বয়কটের শততম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরির শোরগোলে।

ওয়ানডেতে তার সেরা সময় আসে ১৯৭৯ বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তোলায় তার ছিল বড় অবদান। আসরে দলের সফলতম বোলার ছিলেন তিনি। সেমি-ফাইনালে ১৬৫ রানের পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। ১২ ওভারে কেবল ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যান অব দা ম্যাচ।

কাউন্টি ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য সময় তিনি কাটিয়েছেন ডার্বিশায়ারে। শেষ দিকে খেলেছেন নটিংহ্যামশায়ারের হয়েও। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে তার উইকেট ৭৭০টি।

অবসরের পর তিনি নটিংহ্যামশায়ার ক্লাবের ম্যানেজার হন। ১৯৯৫ সালে দায়িত্ব নেন আয়ারল্যান্ডের প্রথম পেশাদার কোচ হিসেবে। আইরিশদের ক্রিকেট এগিয়ে নেওয়ার পেছনে তার পাঁচ বছরের দায়িত্বকালের প্রশংসা হয় এখনও। পরে ডার্বিশায়ারের বোলিং কোচের দায়িত্বও পালন করেন।