বারবাডোজের উইকেট অগ্রহণযোগ্য: পোলার্ড

কেনসিংটন ওভালের ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে সিরিজজুড়েই বেশ ভুগেছেন অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। ওয়ানডে ম্যাচ হলেও দলের রান দুইশ পার হয়েছে কেবল একবার। বারবাডোজের এমন উইকেট একদমই পছন্দ হয়নি কাইরন পোলার্ডের। ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের মতে, এই উইকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2021, 01:01 PM
Updated : 27 July 2021, 01:29 PM

সিরিজে দুইশর বেশি একমাত্র ইনিংসটি অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ওয়ানডেতে তারা ৯ উইকেটে করেছিল ২৫২। জবাবে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ১২৩ রানে। পরের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া তোলে ১৮৭, জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাত্র ১৫২ করতে পারে ক্যারিবিয়ানরা। রান তাড়ায় পথ হারাতে বসেছিল অস্ট্রেলিয়াও। শেষ পর্যন্ত ম্যাথু ওয়েডের ফিফটিতে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে সিরিজ ঘরে তোলে তারা।

প্রথম ওয়ানডের উইকেট ছিল ব্যবহৃত। পরের দুটি ম্যাচও হয়েছিল একই উইকেটে। সোমবার ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পোলার্ড বারবাডোজের উইকেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে নিজেদের বাজে ব্যাটিংয়ের দায়ও নিয়েছেন তিনি।

“বারবাডোজে এসে, আমার মনে হয় দুই দলই এই উইকেটে ভুগেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এমন উইকেট অগ্রহণযোগ্য। আমি অজুহাত দিচ্ছি না। মানছি যে, আমরা খুবই বাজে ব্যাটিং করেছি। তবে তিন ম্যাচের সিরিজে দুটি শীর্ষমানের আন্তর্জাতিক দল যে রান করেছে, আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর। সেন্ট লুসিয়া থেকে এসে এখানে এমন ম্যাচ, আমার মনে হয়, এটা পুরোপুরি হাস্যকর।”

পোলার্ড মনে করেন, দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সামগ্রিকভাবে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে।

“বিষয়টা বিশ্বের সামনে স্পষ্ট। আমি যদি এটা নিয়ে বলতে থাকি, শিরোনাম হয়ে যাবে, ‘পোলার্ড এমন, পোলার্ড অমন।’ কিন্তু বাস্তবতা হলো, কখনও কখনও আমরা খেলোয়াড়রা শুধু শুধু অভিযোগের মুখে পড়ি এবং আমাদেরকে সব খারাপ কিছুর জন্য দায়ী করা হয়। এর বদলে ছেলেদের কিছু ভালো ক্রিকেটিং উইকেটে খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।”

“আমাদের আঞ্চলিক ক্রিকেটেও এমন (উইকেটের ধরন)। আমি মনে করি, সামগ্রিকভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে আমাদের আরও ভালো করা দরকার। আমরা দোষারোপ করছি না। (হারের) দায় আমরা নিচ্ছি। তবে আমার মনে হয়, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সামগ্রিক পদক্ষেপ ও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।”