ভালো খেলার তৃপ্তি সিরিজ সেরা সৌম্যর

আপাতত কেবল একটি সংস্করণেই খেলছেন দেশের হয়ে। তামিম ইকবাল ও লিটন দাস থাকলে টি-টোয়েন্টি একাদশেও জায়গা নিশ্চিত নয় সৌম্য সরকারের। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে ভালো করে পূর্ণশক্তির দলেও জায়গা ধরে রাখার দাবি জানিয়ে রাখলেন তিনি। সিরিজ সেরার পুরস্কার জয়ের চেয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে পারাকেই বড় করে দেখছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2021, 04:46 PM
Updated : 25 July 2021, 05:12 PM

প্রথম ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করেছেন সৌম্য, যে দুই ম্যাচেই জিতেছে দল। এই দুই ম্যাচে বল হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। দুই ম্যাচ মিলিয়ে নেন ৩ উইকেট।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন সৌম্য। ৬৮ রানের চমৎকার ইনিংসের আগে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারের সঙ্গে জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।

বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ভালো খেলতে পারাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তার কাছে। 

“ভালো খেলেছি এটাই সবচেয়ে বড় কথা।…রানটা একটু বড় ছিল। শুরুটা একটু মন্থর হলেও বিশ্বাস ছিল, পরে পুষিয়ে নিতে পারব। আশা ছিল, পাওয়ার প্লেতে একটা (বড়) ওভার পাওয়ার। সেটা হয়নি, কিন্তু পরে আমি আর (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই যে জুটি গড়েছি, তাতে মনে হয় আমরা এগিয়ে গিয়েছি।

“জানতাম একটা বড় ওভার এলে মোমেন্টাম আমাদের দিকে আসবে। আর প্রত্যেক ওভারে একটা করে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করছিলাম। বাকি বলগুলোতে সিঙ্গেলস নিয়ে খেলছিলাম, এর সঙ্গে যদি বাড়তি একটি বাউন্ডারি এসে যায় তাহলে তো খুব ভালো।”

তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন যেখানে রান বিলিয়েছেন অকাতরে, সেখানে সৌম্য ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ছয়ের নিচে। এক ওভারে ২ উইকেট নিয়ে তিনিই বাঁধ দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের রানের বানে। বল হাতে পাওয়ার সময় কী ভেবেছিলেন সৌম্য?

“দেখেন বোলিং তো করতে হয়। তবে হয়ত এত ভালো পজিশনে সুযোগ পাওয়া হয়নি। ফিল্ডিংয়ে তো বরাবরই চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দিতে। আর বোলিংয়ে যে কয় ওভারই পেয়েছি চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দিতে।”

ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি সৌম্য। তার বিদায়ের পর সমীকরণ কিছুটা কঠিন হয়ে গেলেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেটা মিলিয়ে ফেলেন শামীম হোসেন। স্রেফ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে চাপের মধ্যে তার অমন ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে সৌম্যকেও।

“শামীম যতটুকু ব্যাটিং করেছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, ও ইতিবাচক ছিল, ওর মধ্যে একটা ক্ষুধা ছিল যে, ম্যাচটা ও জেতাবে। দেখে ভালো লেগেছে যে, মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে এমন একটা পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিতিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।”

১৫ বলে ৬ চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। জিম্বাবুয়ের ১৯৩ রান বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় চার বল বাকি থাকতে।