বাংলাদেশের ২৩ রানের হার
প্রথম তিন ওভারে নেই ২ ওপেনার। অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহরা পারলেন না দলকে টানতে। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে কিছুটা টানলেন পরের ব্যাটসম্যানরা। তাতে সফরে প্রথম হার এড়াতে পারল না দল।
জিম্বাবুয়ের ১৬৬ রান তাড়ায় এক বল বাকি থাকতে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
লুক জঙ্গুয়ের করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে লং অনে ধরা পড়েন তাসকিন আহমেদ। তাতে এক বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৬৬/৬ (মারুমানি ৩, মাধেভেরে ৭৩, চাকাভা ১৪, মায়ার্স ২৬, রাজা ৪, বার্ল ৩৪*, জঙ্গুয়ে ২; তাসকিন ৪-০-২৮-০, মেহেদি ১-০-১১-১, শরিফুল ৪-০-৩৩-৩, সাইফ ৪-০-৩৬-০, সাকিব ৪-০-৩২-১, সৌম্য ২-০-১৬-০, শামীম ১-০-৭-০) বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ (নাঈম ৫, সৌম্য ৮, মেহেদি ১৫, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৪, আফিফ ২৪, সোহান ৯, শামীম ২৯, সাইফ, তাসকিন ৫, শরিফুল ০*; রাজা ৩-০-২২-০, চাতারা ৪-০-২৪-২, মুজারাবানি ৪-০-২১-২, জঙ্গুয়ে ৩.৫-০-৩১-৩, মাসাকাদজা ৪-০-২০-৩, মাধেভেরে ১-০-১৬-০) |
জঙ্গুয়ের দ্বিতীয় উইকেট
শেষ ওভারে প্রয়োজন ৩১ রান। প্রতিটি বলেই তাই বাউন্ডারির সন্ধানে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। লুক জঙ্গুয়ের আগের বলে বাউন্ডারি মেরে পরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই অলরাউন্ডার।
১৫ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৯ রান করেন সাইফ।
পারলেন না আফিফ
অনেকটা সময় টিকে ছিলেন আফিফ হোসেন। চেষ্টা করছিলেন ম্যাচ যতটা ক্লোজ করা যায়। শেষ পর্যন্ত ফিরে গেলেন তিনিও।
টেন্ডাই চাতারাকে পুল করে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। টাইমিং করতে পারেননি, ফাইন লেগে মিল্টন শুম্বার হাতে ধরা পড়েন তিনি।
একটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ বলে ২৪ রান করেন আফিফ।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ১৩২। শেষ ২ ওভারে ৩৫ রান চাই তাদের।
বড় হলো না শামীম ঝড়
ক্রিজে গিয়ে প্রত্যাশিত ঝড় তুলেছিলে শামীম হোসেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
লুক জঙ্গুয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বল টেনে খেলার চেষ্টায় লংঅনে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার হাতে ধরা পড়েন শামীম। ১৩ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ২৯।
সেই ওভারেই স্ট্রেট দিয়ে ছক্কা মারেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ১১৮। জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ৪৯ রান চাই সফরকারীদের।
১৫তম ওভারে বাংলাদেশের একশ
অভিষেকে বড় কঠিন সময়ে ক্রিজে এসেছেন শামীম হোসেন। কিন্তু আফিফ হোসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ। ওয়েসলি মাধেভেরেকে ছক্কা হাঁকিয়ে ১৫তম ওভারে দলের রান তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন তিনি।
সেই ওভারে পরে মারের দুটি চার। সব মিলিয়ে আসে ১৬ রান।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১০৯। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে তাদের চাই আরও ৫৮ রান।
চার মেরেই শেষ সোহান
আগের বলে চার, পরের বলে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে শেষ নুরুল হাসান সোহানের ইনিংস।
বেরিয়ে এসে টেন্ডাই চাতারার শর্ট বলে পয়েন্ট দিয়ে ছক্কার চেষ্টায় সফল হননি এই কিপার ব্যাটসম্যান। ডিপ পয়েন্ট সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
১ চারে ৮ বলে সোহান করেন ৯ রান।
১২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ৭৩। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী অভিষিক্ত শামীম হোসেন।
ছক্কার চেষ্টায় অক্কা মাহমুদউল্লাহ-মেহেদির
ওভার প্রতি প্রয়োজন সাড়ে নয় করে। শুধু টিকে থাকলেই হবে না, দ্রুত রানও তুলতে হবে। সেই চেষ্টাতেই ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।
বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ কাটাতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু সীমানা পার করতে পারেননি। লংঅনের ফিল্ডার তারিসাই মুসাকান্দা নেন চমৎকার ক্যাচ।
দুই বল পর উইকেট ছুড়ে আসেন মেহেদি। বল আকাশে তুলে দিয়ে লংঅফে রায়ান বার্লের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৯ বলে দুই চারে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ১৫ রান।
৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ৫৩। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান।
সাকিবকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
জুটি গড়ার চেষ্টায় সফল হলো না বাংলাদেশ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন সাকিব আল হাসান।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে এগিয়ে আসতে দেখে বল টেনে দেন মাসাকাদজা। বেরিয়ে এসে তাই সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। কাভারে সহজ ক্যাচ দেন সিকান্দার রাজাকে।
দুই চারে ১০ বলে ১২ রান করেন সাকিব।
৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৪৬। ক্রিজে মেহেদি হাসানের সঙ্গী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট
দুই ওপেনারকে হারানোর পর থেকে বাংলাদেশকে টানছেন মেহেদি হাসান ও সাকিব আল হাসান। দুই জনের ব্যাট থেকে এসেছে দুটি করে চার।
৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৪২। মেহেদি ১৪ বলে ১২ ও সাকিব ৭ বলে ১০ রানে খেলছেন।
প্রথম ৩ ওভারে ১৭ রান তুলতে সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখকে হারায় বাংলাদেশ। পরের তিন ওভারে মেহেদি-সাকিব যোগ করেন ২৫ রান।
এক ওভারে ফিরলেন নাঈম-সৌম্য
আগের ম্যাচে শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল জয়ের ভিত। এবার শুরুর জুটি ভাঙল তৃতীয় ওভারেই। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ফিরে গেলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার।
জায়গায় দাঁড়িয়ে মুজারাবানির বল খেলার চেষ্টায় সফল হননি নাঈম। ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প এলোমেলো করে দেয় বল। এক চারে তরুণ এই ওপেনার করেন ৫ রান।
দুই বল পর ফিরে যান সৌম্যও। কাভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টার সিকান্দার রাজার হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনি এক চারে ৭ বলে করেন ৮।
আগের ম্যাচে ফিফটি করা দুই ওপেনার এবার ব্যর্থ হলেন দুই অঙ্কে যেতে।
৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ১৭। ক্রিজে মেহেদি হাসানের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
১৬৬ রানে থামল জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের শেষ দুই বলেই হয়তো উইকেট পেতে পারতেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের পঞ্চম বলে ফাইন লেগ সীমানায় ক্যাচ ছাড়েন সৌম্য সরকার। পরের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে লুক জঙ্গুয়ের ক্যাচ মুঠোয় জমান সাকিব আল হাসান।
২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান করে জিম্বাবুয়ে। দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন বার্ল।
৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার শরিফুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৬৬/৬ (মারুমানি ৩, মাধেভেরে ৭৩, চাকাভা ১৪, মায়ার্স ২৬, রাজা ৪, বার্ল ৩৪*, জঙ্গুয়ে ২; তাসকিন ৪-০-২৮-০, মেহেদি ১-০-১১-১, শরিফুল ৪-০-৩৩-৩, সাইফ ৪-০-৩৬-০, সাকিব ৪-০-৩২-১, সৌম্য ২-০-১৬-০, শামীম ১-০-৭-০) |
ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন মাধেভেরে
সময়ের দাবি বড় শট। সেই দাবি মেটানোর চেষ্টাতেই ফিরলেন ওয়েসলি মাধভেরে।
বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের লেংথ বল রেবিয়ে এসে লেগে ওড়াতে চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। টাইমিং করতে পারেননি। অনেক উঁচুতে ওঠা ক্যাচ মুঠোয় জমান আফিফ হোসেন।
আগের সেরা ৭০ ছাড়িয়ে ৭৩ রানে থামেন মাধেভেরে। তার ৫৭ বলের ইনিংসে তিন ছক্কার পাশে চার পাঁচটি।
১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৫ উইকেটে ১৪০।
রান আউট রাজা
ফিল্ডিং মোটেও ভালো হচ্ছে না বাংলাদেশের। বিশেষ করে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং। মিস ফিল্ডিংয়ে গুণতে হচ্ছে বাড়তি রান। এর মধ্যেই সরাসরি থ্রোয়ে সিকান্দার রাজাকে রান আউট করে দিলেন সৌম্য সরকার।
সাকিব আল হাসানের বলে দ্রুত একটি রান নিয়ে ওয়েসলি মাধেভেরেকে স্ট্রাইক দিতে চেয়েছিলেন রাজা। ঝুঁকিপূর্ণ সেই রানের চেষ্টাই ৪ রানে থামেন রাজা।
১৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৪ উইকেটে ১২৪।
জুটি ভাঙলেন শরিফুল
আবারও থিতু হয়ে ফিরলেন ডিওন মায়ার্স। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে তুলে মারেন মায়ার্স। খুঁজে পান ডিপ পয়েন্টের ফিল্ডার মেহেদি হাসানকে। ভাঙে ৪৯ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি।
২১ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান করেন মায়ার্স।
১৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩ উইকেটে ১০১। ক্রিজে ওয়েসলি মাধেভেরের সঙ্গী অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
মাধেভেরের ফিফটি
পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে টানছেন ওয়েসলি মাধেভেরে। ৪৫ বলে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার করেছেন ফিফটি। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা।
মাধেভেরে-মায়ার্স জুটিতে পঞ্চাশ
জিম্বাবুয়েকে টানছেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও ডিওন মায়ার্স। তৃতীয় উইকেটে তাদের জুটির পঞ্চাশ এসেছে ৪২ বলে।
তাসকিন আহমেদের করা আগের ওভারে ফিরে যেতে ব্যাটসম্যান দুই জনই। বাংলাদেশ রান আউটের দুটি সুযোগ হাতছাড়া করা যায় টিকে যান দুই জনই।
১৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২ উইকেটে ৯৪।
এসেই সাকিবের আঘাত
শূন্য রানে বেঁচে যাওয়া রেজিস চাকাভা যেতে পারলেন না বেশিদূর। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারটি করতে আসা সাকিব আল হাসানের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টায় ফিরেন ক্যাচ দিয়ে।
অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল টেনে খেলার চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি চাকাভা। মিড অফে ক্যাচ মুঠোয় জমান শরিফুল ইসলাম।
৯ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৪ রান করেন চাকাভা।
পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৪৮ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। ২০ বলে ২৫ রানে খেলছেন ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে। ২ বলে ডিওন মায়ার্সের রান ৫।
শূন্য রানে ‘বাঁচলেন’ চাকাভা
আগের ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা রেজিস চাকাভা ফিরে যেতে পারতেন শূন্য রানে। তাসকিন আহমেদের বলে ঠিক মতো পুল করতে পারেননি এই কিপার-ব্যাটসম্যান। শর্ট ফাইন লেগ থেকে শরিফুল ইসলাম ও ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে মেহেদি হাসান ক্যাচের জন্য ছুটে আসেন। কেউ ক্যাচের জন্য কল করেননি, এবং শেষ পর্যন্ত ক্যাচের চেষ্টাও করেননি কেউ!
পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই চাকাভার হাতে ছক্কা হজম করেন শরিফুল।
৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১ উইকেটে ৩৩।
প্রথম আঘাত মেহেদির
আগের ম্যাচে এক ওভারে ১৮ রান দেওয়ার পর আর বোলিং পাননি মেহেদি হাসান। এবার দ্বিতীয় ওভারেই তার হাতে বল তুলে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দিলেন অফ স্পিনার। বোল্ড করে দিলেন টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে।
ওভারের শুরুটা অবশ্য দুঃস্বপ্নের মতোই হয়েছিল মেহেদির। ওয়েসলি মাধেভেরের হাতে প্রথম দুই বলে হজম করেন ছক্কা ও চার। পরে অবশ্য ঘুরে দাড়ান মেহেদি।
অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বল পিছিয়ে গিয়ে খেলার চেষ্টায় পারেননি মারুমানি। ব্যাটের কানা এড়িয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৫ বলে ৩ রান করেন তিনি।
২ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১ উইকেটে ১৫। ক্রিজে ওয়েসলি মাধেভেরের সঙ্গী রেজিস চাকাভা।
১৫৩-১৫৫ রানের উইকেট নয়
তৃতীয় ওয়ানডেতে এই পিচেই জিম্বাবুয়ের ২৯৮ রান টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পিচ রিপোর্টে ধারাভাষ্যকার ও বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলি জানালেন, এই উইকেটে রান আছে।
একই মত জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজারও। তার মতে, আর যাই হোক, এটা ১৫৩-১৫৫ রানের উইকেট নয়। বড় স্কোরেই নজর রেখে ব্যাটিং নিয়েছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। পরের ভাগে উইকেটে খুব একটা পরিবর্তন আশা করছেন না তিনি।
বিপ্লবের বাবার জন্য নীরবতা
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুরুর আগে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বাবার মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। টসের পর স্বাগতিক অধিনায়ক সিকান্দার রাজা জিম্বাবুয়ে ও তাদের খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে বিপ্লবের বাবার মৃত্যুতে শোক ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ে দলেও দুই পরিবর্তন
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া জিম্বাবুয়ে দলে এনেছেন দুটি পরিবর্তন। একাদশে ফিরেছেন টেন্ডাই চাতারা ও মিল্টন শুম্বা। জায়গা হারিয়েছেন, রিচার্ড এনগারাভা ও তারিসাই মুসাকান্দা।
জিম্বাবুয়ে: রেজিস চাকাভা, টাডিওয়ানাশে মারুমানি, মিল্টন শুস্বা, ডিওন মায়ার্স, ওয়েসলি মাধেভেরে, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, টেন্ডাই চাতারা। |
শামীমের অভিষেক, ফিরলেন তাসকিন
অসাধারণ ফিল্ডিং, কার্যকর বোলিং আর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাওয়া শামীম হোসেনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হচ্ছে। আগের ম্যাচে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়া লিটন দাসকে দেওয়া হয়েছে বিশ্রাম।
অভিষেকের আগেই অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখাতে পেরেছেন শামীম। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লিটনের জায়গায় বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমে সীমানায় নেন রায়ান বার্লের দুর্দান্ত ক্যাচ।
লিটনের মতো চোটের জন্য নেই মুস্তাফিজুর রহমানও। বাঁহাতি এই পেসারের জায়গায় দলে এসেছেন তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশ: মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শামীম হোসেন, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম। |
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
প্রথম ম্যাচের মতোই টস জিতে ব্যাটিং নিলেন সিকান্দার রাজা। আগের ম্যাচে হারলেও পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কারণ দেখছেন না জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ
জয় দিয়ে শুরুর পর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের নজর সিরিজ জিতে নেওয়ার দিকে। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই কাজটা সেরে রাখতে চায় সফরকারীরা।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বিকাল সাড়ে চারটায়।
টি-টোয়েন্টিতে জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত একশ টি-টোয়েন্টিতে কখনও টানা চার ম্যাচে জিততে পারেনি দলটি। টানা তিন ম্যাচে জিতেছে কেবল দুইবার, ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ এশিয়া কাপে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে।