বেলফাস্টে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪২ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে।
ম্যাচ সেরা মিলারের অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসের সুবাদে প্রতিপক্ষকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের সেরা বোলার শামসি। আর একাদশে ফেরা ফোরটান নেন ১৬ রানে ৩ উইকেট।
ম্যাচের শুরুটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ছিল ভীষণ হতাশার। স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা হওয়ার আগেই ৪ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ম্যাচের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে অধিনায়ক বাভুমা ও ইয়ানেমান মালানকে ফেরান স্টার্লিং।
চতুর্থ ওভারে এইডেন মারক্রামকে বোল্ড করে চাপ বাড়ান মার্ক অ্যাডায়ার।
এক প্রান্ত আগলে রাখা কুইন্টন ডি কক জস লিটলের এক ওভারে তিন বাইন্ডারি মেরে দারুণ কিছুর আভাস দিলেও একটু পর ফিরে যান তিনিও। সিমি সিংয়ের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২০ বলে ২৭ রান করেন এই কিপার-ব্যাটার।
আর বাঁহাতি পেসার লিটলের বলে রাসি ফন ডার ডাসেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৫৭।
সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মিলার। একাদশে ফেরা ভিয়ান মুল্ডারকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৪৩ বলে ৫৮ রানের জুটি।
ক্রেইগ ইয়াংকে ওড়াতে গিয়ে দুটি করে ছক্কা চারে ২৬ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন মুল্ডার। তবে শেষ পর্যন্ত লড়ে যান মিলার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যাট হতে থাকে উত্তাল। শুরুতে বলের সঙ্গে এগুতে থাকলেও ৩৭ বলে করেন ফিফটি। লিটলের শেষ ওভারে চার ছক্কায় নেন ২৪ রান। শেষ ১০ ওভারে ১০২ রান তোলে সফরকারীরা।
৪৪ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার। ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ম্যাচ সেরা ইনিংসটি গড়েন তিনি।
ছয় বা তার নিচে ব্যাট করে মিলারের এটি তৃতীয় ফিফটি; আফগানিস্তানের মোহাম্মাদ নবি ও শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরার সঙ্গে যা যৌথ সর্বোচ্চ।
দুই স্পিনারের নৈপুণ্যে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড কখনোই জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। প্রথম ওভারেই ফোরটানকে ফিরতি ক্যাচ দেন কেভিন ও’ব্রায়েন। আরেক ওপেনার পল স্টার্লিংকে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ বানান শামসি। মাঝে অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি পেসার বিউরান হেনড্রিকসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
দ্রুত আরও দুই উইকেট হারালে স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ৫৬ রানে ৫ উইকেট। তাতেই ম্যাচের সম্ভাব্য ফলও বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে যায়। বাকিরা শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
দলটির মোট পাঁচ জন পেয়েছেন দুই অঙ্কের দেখা; কিন্তু কেউ ২৫ পেরুতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন গেটকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৫৯/৭ (বাভুমা ০, ডি কক ২৭, মালান ০, মারক্রাম ৮, ফন ডার ডাসেন ৬, মিলার ৭৫*, মুল্ডার ৩৬, ফোরটান ৫, হেনড্রিকস ০*; স্টার্লিং ৩-০-১২-২, ইয়াং ৪-০-৩৯-১, অ্যাডায়ার ৪-০-৩৩-২, লিটল ৪-০-৪২-১, সিমি ৪-০-২৬-১, গেটকেট ১-০-৬-০)।
আয়ারল্যান্ড: ১৯.৩ ওভারে ১১৭ (স্টার্লিং ১৯, ও’ব্রায়েন ০, বালবার্নি ৬, ডকরেল ২০, টেক্টর ৩, গেটকেট ২৪, টাকার ১২,সিমি ১, অ্যাডায়ার ১৫*, ইয়াং ০; ফোরটান ৪-১-১৬-৩, এনগিডি ৩.৩-০-১৪-১, হেনড্রিকস ৪-০-২৮-২, মুল্ডার ২-০-২৪-০, শামসি ৪-০-১৪-৩), মারক্রাম ২-০-১৭-১।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড মিলার।