নাঈম-সৌম্যর ফিফটিতে জয়ে শুরু বাংলাদেশের

প্রত্যাশিত জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। বোলাররা লক্ষ্যটা নাগালে রাখার পর রেকর্ড গড়া জুটিতে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে এলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। তাদের ফিফটিতে নিজেদের শততম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2021, 10:05 AM
Updated : 22 July 2021, 02:46 PM

৮ উইকেটের জয়

টেস্ট ও ওয়ানডের পর নিজেদের শততম টি-টোয়েন্টিতেও জিতল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকারের ফিফটিতে জিম্বাবুয়ের ১৫২ পেরিয়ে গেছে ৭ বল বাকি থাকতে।

৫১ বলে ৬ চারে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন নাঈম। ৮ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৪ রান করেন সাড়ে চার বছর পর এই সংস্করণে খেলতে নামা নুরুল হাসান সোহান। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ১৯ ওভারে ১৫২ (মাধেভেরে ২৩, মারুমানি ৭, চাকাভা ৪৩, মায়ার্স ৩৫, রাজা ০, মুসাকান্দা ৬, বার্ল ৪, জঙ্গুয়ে ১৮, মাসাকাদজা ৪*, এনগারাভা ০, মুজারাবানি ৮; সাইফ ৪-০-২৩-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-৩, সাকিব ৪-০-২৮-১, শরিফুল ৩-০-১৭-২, মেহেদি ১-০-১৮-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৪-০, সৌম্য ২-০-১৮-১)

বাংলাদেশ: ১৮.৫ ওভারে ১৫৩/২ (নাঈম ৬৩*, সৌম্য ৫০, মাহমুদউল্লাহ ১৫, সোহান ১৬*; মুজারাবানি ৩.৫-০-১৯-০, মাধেভেরে ৩-০-২৪-০, এনগারাভা ৪-০-৪৬-০, জঙ্গুয়ে ৩-০-২৮-০, রাজা ২-০-১৬-০, মাসাকাদজা ৩-০-২০-০)

মাহমুদউল্লাহও রান আউট

নেমেই একটি চার মারলেও প্রত্যাশিত ঝড় দেখা গেল না মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। ঝুঁকিপূর্ণ একটি সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

শিঙ্গিরাই মাসাকাদজার বল মোহাম্মদ নাইম শেখ লেগে পাঠানোর পর একটি রান নিতে চেয়েছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ব্লেসিং মুজারাবানির সরাসরি থ্রো স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার সময় কিছুটা দূরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

১২ বলে ১ চারে ১৫ রান করেন তিনি।

১৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ১২৬। ক্রিজে নাঈমের সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান

নাঈমের ফিফটি

সৌম্য সরকারের পর ফিফটি পেলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখও। বাঁহাতি এই ওপেনারের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পঞ্চাশ এসেছে ৪০ বলে।

চতুর্থ ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে চার বলের মধ্যে মেরেছিলেন তিন চার। পরের ওভারে লুক জঙ্গুয়েকে একটি। এরপর থেকে এক-দুই নিয়েই খেলছেন তিনি। মাঝে দশম ওভারে ফ্রি হিট পেয়ে সিকান্দার রাজাকে মারেক একটি চার।

৪২ বলে ৫ চারে খেলছেন ৫১ রানে। ১১ রানে ১৪ রানে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ।

১৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১২২।

পঞ্চাশের পর রান আউট সৌম্য

যে বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করলেন, সেই বলেই রান আউট হয়ে গেলেন সৌম্য সরকার।

রিচার্ড এনগারাভার বল ডিপ মিডউইকেটে পাঠিয়ে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। স্টাম্প থেকে বেশ দূরে পাওয়া থ্রো ধরে রেজিস চাকাভা যখন বেলস ফেলে দেন তখনও খানিকটা দূরে ছিলেন তিনি। ভাঙে ১০২ রানের জুটি।

৪৫ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করেন সৌম্য। এই ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছান সৌম্য। এই সংস্করণে ৫৪ ইনিংসে তার রান ১ হাজার ১।

তিনে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ব্যাট করছেন ৪৭ রানে।

১৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১০৯।

শতরানের প্রথম উদ্বোধনী জুটি

নিজেদের শততম ম্যাচে একটি প্রথমের দেখা পেল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটে দলটি পেল প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি।

শুরুর জুটিতে বাংলাদেশের আগের সেরা ছিল ৯২। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই গত বছর মার্চে এই জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।

৪৪ বলে এসেছিল সৌম্য ও নাঈমের জুটির পঞ্চাশ। রান তিন অঙ্কে গেছে ৭৯ বলে।

১৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ১০১।

শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ

দুই ওপেনারই সময় নিচ্ছেন। প্রথম আট ওভারে খেলেছেন ১৯টি ডট বল। এক-দুই নিয়ে খেলছেন। নিজে জোনে বল পেলে মারছেন বাউন্ডারি।

মন্থর ব্যাটিংয়ে ৪৪ বলে এসেছে তাদের জুটির পঞ্চাশ।

৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫৬/০।

বাংলাদেশের ভালো শুরু

রান তাড়ায় দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার।

৬ ওভার বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ৪৩।

১৮ বলে ২৫ রানে খেলছেন নাঈম, ১৯ বলে ১৬ রানে সৌম্য।

পাওয়ার প্লেতে দুই অর্ধে বাংলাদেশ ছিল দুই রকম। প্রথম ৩ ওভারে আসে কেবল ৯ রান, পরের ৩ ওভারে ৩৪।

জিম্বাবুয়ে ইনিংসে ৬.৫ ওভারে খুড়িয়ে খুড়িয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। পরে আর ফিল্ডিংয়ে নামেননি তিনি। তার জায়গায় ওপেনিংয়ে ফিরেছেন সৌম্য।

১৫৩ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

রেজিস চাকাভার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া জিম্বাবুয়ে আশা জাগিয়েছিল অনেক বড় সংগ্রহের। তবে শেষ পর্যন্ত এর আগেই স্বাগতিকদের থামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

১০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৯১। সেখান থেকে ১ ওভার বাকি থাকতেই তাদের ১৫২ রানে গুটিয়ে দেয় সফরকারীরা।

৩১ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজু রহমান। ১৭ রানে দুটি নেন শরিফুল ইসলাম। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ২ উইকেট নেন ২৩ রানে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ১৯ ওভারে ১৫২ (মাধেভেরে ২৩, মারুমানি ৭, চাকাভা ৪৩, মায়ার্স ৩৫, রাজা ০, মুসাকান্দা ৬, বার্ল ৪, জঙ্গুয়ে ১৮, মাসাকাদজা ৪*, এনগারাভা ০, মুজারাবানি ৮; সাইফ ৪-০-২৩-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-৩, সাকিব ৪-০-২৮-১, শরিফুল ৩-০-১৭-২, মেহেদি ১-০-১৮-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৪-০, সৌম্য ২-০-১৮-১)

মুস্তাফিজের জোড়া উইকেটে শেষ জিম্বাবুয়ে

নিজের শেষ ওভারে ফিরে উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিলেন রিচার্ড এনগারাভাকে।

পরের বলেই শেষ হয়ে যেতে পারত জিম্বাবুয়ের ইনিংস। কিন্তু ব্লেসিং মুজারাবানির ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান।

পরের দুই বলে জিম্বাবুয়ের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মারেন দুটি বাউন্ডারি। ওভারের শেষ বলে তাকে বোল্ড করে দেন মুস্তাফিজ। এক ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

সাইফের জোড়া উইকেট

ভালো বোলিং করলেও উইকেট পাচ্ছিলেন না মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। নিজের শেষ ওভারে পেলেন জোড়া উইকেট। 

অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্কুপ করতে চেয়েছিলেন লুক জঙ্গুয়ে। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। দুই চারে ১৬ বলে ১৮ রান করে ফিরেন জঙ্গুয়ে।

বদলি ফিল্ডার শামীম হোসেনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সেই ওভারেই ফিরেন রায়ান বার্ল। লং অনে দারুণ গতিতে ছুটে গিয়ে বল মুঠোয় নেন শামীম, এরপর স্লাইড করে এগিয়ে যান আরও অনেকটা। বল ছাড়েননি হাত থেকে, নিশ্চিত করে শরীরের কোনো অংশ সীমানা দড়িতে স্পর্শ করছে না।  

১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৮ উইকেটে ১৪৩।

বিপজ্জনক মায়ার্সকে থামালেন শরিফুল

খরুচে প্রথম ওভারের পর দারুণ বোলিং করছেন শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন একটি উইকেট, রান আউটে এসেছিল আরেকটি উইকেট। এবারও ১ রানে পেলেন একটি উইকেট।

বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল ক্রস ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন ডিওন মায়ার্স। বলের লাইনে যেতে পারেন, উড়ে যায় স্টাম্প।

টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ইনিংসে ২২ বলে দুই চারে ৩৫ রান করেন মায়ার্স।

১৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৬ উইকেটে ১২০। ক্রিজে রায়ার্ন বার্লের সঙ্গী লুক জঙ্গুয়ে।

মুসাকান্দাকে ফেরালেন সৌম্য

সৌম্য সরকারের আগের ওভারে জোরাল একটি আবেদন থেকে যাওয়া তারিসাই মুসাকান্দা শেষ পর্যন্ত এলবিডব্লিউ হয়েই ফিরলেন। লেগ-মিডলে থাকা ফুল লেংথ বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাটে খেলতে পারেননি, এবার আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।

এক চারে ৬ বলে ৬ রান করেন মুসাকান্দা।

১৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৫ উইকেটে ১১৫। ক্রিজে ডিওন মায়ার্সের সঙ্গী রায়ার্ন বার্ল।

শূন্যতেই শেষ রাজা

২ উইকেটে ৯১ রান নিয়ে একাদশ ওভার শুরু করা জিম্বাবুয়ে ১ রান তুলতে হারাল দুই উইকেট। রেজিস চাকাভা রান আউট হওয়ার পর শূন্য রানে কট বিহাইন্ড হলেন সিকান্দার রাজা।

শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বল থার্ড ম্যানে পাঠাতে চেয়েছিলেন রাজা। ঠিক মতো পারেননি তিনি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।

১১ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৪ উইকেটে ৯২। ক্রিজে ডিওন মায়ার্সের সঙ্গী তারিসাই মুসাকান্দা।

সোহানের সরাসরি থ্রোয়ে থামল চাকাভা ঝড়

শরিফুল ইসলামের বলে স্কুপ করার চেষ্টায় পুরোপুরি সফল হননি রেজিস চাকাভা। এগিয়ে এসে ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু যখন দেখলেন রানের জন্য মন্থর পায়ে এগোচ্ছেন চাকাভা, সঙ্গে সঙ্গে গ্লাভস খুলে থ্রো করলেন স্টাম্প বরাবর।

বিপদ দেখে গতি বাড়িয়েছিলেন চাকাভা কিন্তু কাজ হয়নি, সোহানের নিখুঁত থ্রো ফেলে দিয়েছে বেলস।

২২ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় চাকাভার বিস্ফোরক ইনিংসের সমাপ্তি রান আউটে।

মাধেভেরেকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব

বিপজ্জনক হয়ে জুটি ভাঙতে পারল বাংলাদেশ। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ওয়েসলি মাধেভেরেকে ফিরিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান।

বাঁহাতি স্পিনারকে লং অফ দিয়ে ওড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাধেভেরে। কিন্তু ব্যাটের ভেতরের দিকে লেগে ক্যাচ যায় বোলারের কাছে। লাফিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমিয়ে ৩৮ বল স্থায়ী ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব।

৯ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২ উইকেটে ৭৭। ক্রিজে রেজিস চাকাভার সঙ্গী অভিষিক্ত ডিওন মায়ার্স।

৩২ বলে জুটির পঞ্চাশ

ওয়ানডে সিরিজে দুটি ফিফটি করা রেজিস চাকাভার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দ্রুত এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ওয়েসলি মাধেভেরের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে কেবল ৩২ বলে।

অষ্টম ওভারে পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে আসা মেহেদি হাসানের উপর দিয়ে যেন বয়ে গেছে ঝড়। তার ওভারে এক চারের পর টানা ছক্কা মেরেছেন চাকাভা। ওভার থেকে এসেছে ১৮ রান।

পাওয়ার প্লেতে চাকাভার ব্যাটে ঝড়

ক্রিজে এসেই শট খেলতে শুরু করেছেন রেজিস চাকাভা। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তাতে পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তুলতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে।

৬ ওভারে স্বাগতিকদের স্কোর ১ উইকেটে ৫০। মাধেভেরে ১৯ বলে ২০ ও চাকাভা ১০ বলে ২১ রানে খেলছেন।

পাওয়ার প্লেতে চার বোলারকে ব্যবহার করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ছাড়া বাকি তিন জনই ছিলেন খরুচে। সাইফ দুই ওভারে দেন কেবল ৬ রান।

২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন মুস্তাফিজুর রহমান। সকিব ১ ওভারে দেন ১১, শরিফুলের ওভার থেকে একটি করে ছক্কা ও চারে আসে ১৫ রান।

ছক্কার পর মারুমানির অক্কা

তৃতীয় ওয়ানডের এলোমেলো বোলিং ভুলে প্রথম ওভারে বেশ ভালো লাইন, লেংথেই বোলিং করলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। মুস্তাফিজুর রহমানের পরের ওভারে মিলল উইকেট। সৌম্য সরকারের দারুণ এক ক্যাচে ফিরে গেলেন টাডিওয়ানাশে মারুমানি।

মুস্তাফিজের দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা মেরেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। চালিয়ে দিয়েছিলেন পরের দুই বলেও, কিন্তু ব্যাটে খেলতে পারেননি।

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল টেনে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারলেন, কিন্তু টাইমিং হলো না মোটেও। মিপ মিডউইকেট সীমানা থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে চমৎকার এক ক্যাচ মুঠোয় জমান সৌম্য।

এক ছক্কায় সাত বলে সাত রান করেন মারুমানি।

২ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১ উইকেটে ১২। ক্রিজে ওয়েসলি মাধেভেরের সঙ্গী রেজিস চাকাভা।

টি-টোয়েন্টিতেও মায়ার্সের অভিষেক

বাংলাদেশের চলতি সফরে টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও অভিষেক হচ্ছে ডিওন মায়ার্সের। এই সংস্করণে তার অভিজ্ঞতা কেবল পাঁচ ম্যাচের।

আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড সফরের আগে ব্রেন্ডন টেইলরকে বিশ্রাম দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তার জায়গায় দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টিতে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিকান্দার রাজা।

জিম্বাবুয়ে: রেজিস চাকাভা, টাডিওয়ানাশে মারুমানি, তারিসাই মুসাকান্দা, ডিওন মায়ার্স, ওয়েসলি মাধেভেরে, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।

টি-টোয়েন্টিতেও ফিরলেন সোহান

সেই ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। ঘরোয়া ক্রিকেটের ভালো পারফরম্যান্স ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের দারুণ পারফরম্যান্সে সাড়ে চার বছর পর টি-টোয়েন্টিতেও তিনি ফিরলেন দলে।

ছুটি নেওয়ায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বছরের শুরুতে সবশেষ সিরিজে খেলেননি সাকিব আল হাসান। অনুমিতভাবেই তিনি ফিরেছেন দলে। সেই ম্যাচে বিশ্রামে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানও এসেছেন দলে।

জায়গা হারিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ।    

টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

ব্রেন্ডন টেইলরের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দেওয়া সিকান্দার রাজা জিতলেন টস। তিনি নিলেন ব্যাটিং। হেরেও বাংলাদেশের চাওয়া পূরণ হয়েছে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, টস জিতলে তিনি বোলিংই নিতেন।

বাংলাদেশ: মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শততম ম্যাচ

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই, ২০০৬ সালে খুলনায়। সেই ম্যাচে ৪৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই এই সংস্করণে শততম ম্যাচে খেলতে নামছে বাংলাদেশ।

ওয়ানডে ও টেস্টে নিজেদের ১০০তম ম্যাচ দারুণ জয়ে রাঙিয়েছিল বাংলাদেশ। শততম ওয়ানডে ছিল ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি ঠাসা দর্শকের সামনে ১৫ রানের স্মরণীয় জয় এসেছিল সেদিন। শততম টেস্ট জয় ছিল ২০১৭ সালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোর পি সারা ওভালে।

বাংলাদেশের পরীক্ষা নিরীক্ষার সিরিজ

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেই জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের সিরিজ থেকে তাদের চাওয়া-পাওয়ার খুব বেশি কিছু নেই। তবে বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকজনকে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ তাদের জন্য।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃহস্পতিবার প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বিকাল সাড়ে চারটায়।  

তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম না থাকায় এমনিতেই দুটি জায়গা ফাঁকা। নিয়মিত দুই খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে অন্যদের জন্য সুযোগ দেখছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।