ওয়ানডে সিরিজ শেষে মাত্র একদিনের বিরতির পরই শুরু হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। হারারেতে তিন ম্যাচের সিরিজটি শুরু বৃহস্পতিবার।
টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ১০ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মোটে তিনটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবশ্য সবশেষ চার ম্যাচে জয় ধরা দিয়েছে। তবে সবকটিই দেশের মাঠে। জিম্বাবুয়েতে গিয়ে বাংলাদেশ সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০১৩ সালে। সেবার ১-১ ড্র হয়েছিল সিরিজ।
এবার জিম্বাবুয়ে সফরে একমাত্র টেস্টে জয়ের পর ওয়ানডে সিরিজও ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কাজটা আরও কঠিন হবে বলেই মনে করেন সাকিব।
“টি-টোয়েন্টিতে দুই দলই সবসময় ম্যাচে থাকে। খেলাটা একটি-দুটি বলে বা এক ওভারে, খেলাটা অনেক দ্রুতই বদলে যায়। টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জিততে হলে আমাদের সেরা চেহারায় থাকতে হবে। আমরা সিরিজটির জন্য মুখিয়ে আছি। তবে আমাদের একটি করে ম্যাচ ধরে এগিয়ে যেতে হবে।”
এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিও বলা যায় শুরু হয়ে যাচ্ছে। জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচের পরপরই দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর দেশেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে, বিশ্বকাপের ঠিক আগে তিন ম্যাচের সিরিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপের জন্য দলের কাঠামো ঠিক করে নেওয়া ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে
এই সিরিজগুলোকে দেখছেন সাকিব।
“সামনে প্রতিটি সিরিজই গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার সুযোগ আছে দলের ভেতরে। দলের সেরা কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি যখনই ভালো ফল হবে, তা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে। সেদিক থেকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ।”