৩-০ ব্যবধানে জেতা সিরিজে ১৯, ২ ও ৩০ রানের তিনটি অনুজ্জ্বল ইনিংস খেলেন মিঠুন। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে মঙ্গলবার সেঞ্চুরি করার পথে কিছুটা সময় সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন তামিম। ক্রিজে থেকেই দেখেছেন সঙ্গীর ভোগান্তি। ৫৭ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি কেবল একটি।
তবে রানের জন্য তার এই লড়াই নয়, তামিমের চোখে ভাসছে নিউ জিল্যান্ড সফরে মিঠুনের দুর্দান্ত ইনিংস। ক্রাইস্টচার্চে ৫৭ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারে ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মিঠুন। সেই ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েও পারেনি বাংলাদেশ।
অমন ইনিংস খেলতে পারেন বলেই মিঠুনের ওপর আস্থা রাখছেন তামিম। তবে একই সঙ্গে বলেছেন, সুযোগ আসবে অন্যদেরও।
“আমার কাছে মনে হয়, সবাইকেই সুযোগ দেওয়া উচিত। মিঠুন শেষ দুই-তিনটা ম্যাচে হয়তো খুব একটা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু আপনি যদি নিউ জিল্যান্ডের কথা মনে করেন, সেখানে যে ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল, সেটায় ওর সবচেয়ে বড় অবদান ছিল।”
“পাঁচ ও ছয় নম্বরে আমরা এখনও হয়তো মন মতো কাউকে পাইনি, কিন্তু আমরা সবাইকে সুযোগ দিচ্ছি। আজ (নুরুল হাসান) সোহানের ইনিংসটা চমৎকার ছিল। দুই-তিন জন আছে যারা একটি জায়গার জন্য লড়াই করছে।”
ছয়ে নেমে ৬ চারে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সোহান। সাড়ে চার বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে এমন ইনিংসে ফিনিশারের ভূমিকায় খেলার দাবিটা অন্তত জানিয়ে রাখলেন তিনি।
আগের দুই ম্যাচে পাঁচে ব্যাটিং করে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। তৃতীয় ম্যাচে দলে থাকলেও ব্যাটিংয়ে নামা সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে জায়গা হয়নি তার। অধিনায়ক সবাইকেই দিলেন আশা, নিজেকে প্রমাণের সুযোগ সবাই পাবে।
“সিরিজ জয়ে তো অবশ্যই খুশি। আমার কাছে মনে হয়, দল হিসেবে আমরা আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। বিশ্বকাপের আগে আমাদের আরও ১২টা ম্যাচ আছে। এই ম্যাচগুলো আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কমপ্লিট একটা দল হিসেবে বিশ্বকাপে যেতে চাই।”