শেষ মুহূর্তে কোনো চোট বা কিছু বাধা হয়ে না দাঁড়ালে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ হবে মাহমুদউল্লাহর ২০০তম ওয়ানডে।
২০০৭ সালের ২৫ জুলাই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তার ওয়ানডে অভিষেক। একশ ওয়ানডে পূর্ণ হয় ৭ বছর পর, ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে। আরও ৭ বছর পর হতে যাচ্ছে দুইশ।
ম্যাচ খেলার ডাবল সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের পঞ্চম ক্রিকেটার হবেন তিনি। দেশের অন্য চার সিনিয়র ক্রিকেটার এখানে পৌঁছেছেন আগে।
২২৭ ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সবার ওপরে মুশফিকুর রহিম। দেশের হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবালের ম্যাচ ২১৮টি, সাকিব আল হাসানের ২১৪টি।
শুধু ম্যাচ খেলায় নয়, রেকর্ড বইয়ের অন্যান্য পাতায়ও বাংলাদেশের ওপরের দিকেই আছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৯৯ ওয়ানডেতে ৪ হাজার ৪৬৯ রান তার, দেশের যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। উইকেট ৭৬টি, এখানে তিনি দেশের সপ্তম।
ফিল্ডিংয়ে তিনিই সফলতম। তার ৬৯ ক্যাচের চেয়ে বেশি নেই বাংলাদেশের আর কারও।
বাংলাদেশের হয়ে ৯২টি ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। এখানে তিনি পঞ্চম।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম দুই সেঞ্চুরিই তার। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তার অসাধারণ সেঞ্চুরিতে বড় আসরে প্রথমবার সেমি-ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়েছিল বাংলাদেশ।
তবে মাহমুদউল্লাহ মানে এসব রেকর্ড-পরিসংখ্যানের চেয়েও বেশি কিছু। বাংলাদেশের ‘ক্রাইসিস ম্যান’ তিনি, বরাবরই বিপদের ভরসা। বিপর্যয় থেকে ব্যাট হাতে দলকে উদ্ধার করেছেন অনেকবার। বল হাতে ভীষণ প্রয়োজনের সময় এনে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু। অসংখ্যবার তার অনেক ছোট অবদান দলে রেখেছে বড় ভূমিকা। বহুবার হয়েছেন দলের পার্শ্বনায়ক, কিন্তু তিনি না থাকলে নায়ক হতে পারতেন না কেউ। বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহ তাই মহামূল্য একজন।
বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে একশর বেশি ওয়ানডে খেলেছেন কেবল আর মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭৫) ও রুবেল হোসেন (১০৪)।
আশরাফুলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থমকে আছে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে। সেখানে নতুন গতি পাওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই। বয়স পেরিয়ে গেছে তার ৩৭। রুবেলের বয়স ৩১। পেস বোলার হিসেবে তার ক্যারিয়ারও আরও অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা কমই। মাহমুদউল্লাহর পর দুইশ ওয়ানডে খেলা আর কাউকে পেতে তাই অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।