দ্রুত জয়ের তাড়া ছিল না সাকিবের

নবম ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন যখন ক্রিজে আসেন, তখনও জয় থেকে ৬৮ রান দূরে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে কিছু বড় শট চেষ্টা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সাকিব আল হাসানের ভাবনা ছিল ভিন্ন। তার চাওয়া ছিল, ম্যাচ যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে যাওয়া। সেই পথে এগিয়েই দলকে নিয়ে যান তিনি জয়ের বন্দরে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2021, 06:34 PM
Updated : 18 July 2021, 06:34 PM

হারারেতে রোববার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। দল প্রথম উইকেট হারানোর পর দশম ওভারে উইকেটে যান সাকিব। অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন শেষ ওভারে।  এক যুগ পর জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।

২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও ৭৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৫৫ রানের জুটিতে দলকে কিছুটা উদ্ধার করেন সাকিব। থিতু হয়ে মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন দ্রুত তাকে অনুসরণ করলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

সেখান থেকে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে জুটিতে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন সাকিব। ৫৯ বলে ফিফটি করার পর খেলে যান প্রায় একই ছন্দে। ১০৯ বলে ৮ চারে করেন ৯৬ রান।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বাউন্ডারি মারেন কেবল দুটি। একটি লুক জঙ্গুয়ের বলে, অন্যটি ব্লেসিং মুজারাবানিকে, যেটিতে আসে জয়। এছাড়া কেবল এক-দুই করে নিয়ে সচল রাখেন রানের চাকা।

ম্যাচ শেষে বিসিবির ভিডিও বার্তায় ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার জানান, উইকেটে তার ভাবনা কেমন ছিল।

“আফিফের সঙ্গেও একই কথা বলছিলাম, সাইফুদ্দিনের সঙ্গেও তাই। একটাই কথা বলছিলাম। আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি ৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারি, তাহলে দেখতে পারব আমরা কোথায় আছি। তখন ১৫-২০ বা ৩০ রান দুই-তিন ওভারেও করা সম্ভব, এখনকার ওয়ানডে ক্রিকেটে। সব সময় লক্ষ্য ছিল খেলা যতটা ক্লোজ করতে পারি। কখনই চিন্তা করিনি যে, ৬০-৭০ রান লাগে সেটা তাড়াতাড়ি তাড়া করতে হবে। সব সময় জানতাম, বলে বলে রান থাকলে খুবই সহজ।”

উইকেট একটু মন্থর ছিল বলে ব্যাটিং ততোটা সহজ ছিল না। সাকিব মনে করেন, এই উইকেটে মানিয়ে নেওয়ায় ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমন উইকেটে শেষ দিকে নেমে চাপের মধ্যে ৩৪ বলে ২৮ রানের কার্যকর ইনিংস খেলা সাইফের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন তিনি।

“উইকেট আজ একটু ভিন্নরকম ছিল, ওইভাবে ব্যাটে আসছিল না। রান করার জন্য শট খেলতে হতো। ব্যাটসম্যান হিসেবে মানিয়ে নিতে হয়েছে। আমি খুশি যে, মানিয়ে নিতে পেরেছি। নিয়মিত যেহেতু উইকেট পড়ছিল, আমি খুব বেশি কিছু করতেও পারতাম না। কৃতিত্ব দিতে হয় সাইফ উদ্দিনকে, ও যেভাবে খেলাটা শেষ করতে পেরেছে।’