লিভিংস্টোনের জোড়া রেকর্ডের ম্যাচেও পারল না ইংল্যান্ড

ছোট মাঠে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে রান উৎসবে মাতলেন দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। প্রাপ্তির দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ২ রানে জীবন পেয়ে খুনে ইনিংসে গড়লেন দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটি ও সেঞ্চুরির রেকর্ড। তবুও পাকিস্তানের বিপক্ষে পেরে উঠল না ইংল্যান্ড।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2021, 09:31 PM
Updated : 16 July 2021, 09:31 PM

নটিংহ্যামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩১ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে বারব আজমের দল।

বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২৩২ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। লিভিংস্টোনের সেঞ্চুরিতে লম্বা সময় আশা বাঁচিয়ে রাখা ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২০১ রানে।

১৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন লিভিংস্টোন। ইংল্যান্ডের হয়ে আগের দ্রুততম ফিফটি ছিল ওয়েন মর্গ্যানের। ২০১৯ সালে নেপিয়ারে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিফটি করেন ২১ বলে।

৪২ বলে সেঞ্চুরি করে লিভিংস্টোন ভাঙ্গেন দাভিদ মালানের রেকর্ড। নেপিয়ারের ওই ম্যাচেই ৪৮ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

ট্রেন্ট ব্রিজে শুক্রবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে দারুণ সূচনা এনে দেন বাবর ও রিজওয়ান। পাওয়ার প্লেতে অতোটা বিস্ফোরক ছিলেন না দুই ব্যাটসম্যান। প্রথম ৬ ওভারে আসে ৪৯ রান।

এরপর তারা মনোযোগ দেন রানের গতি বাড়ানোর দিকে। ৬৮ বলে জুটি ও দলের রান যায় তিন অঙ্কে। ৩৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন রিজওয়ান, এর আগেই ৩৫ বলে ফিফটি হয়ে যায় বাবরের।

৮৭ বলে জুটির রান দেড়শ হতেই ফিরেন রিজওয়ান। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের ৪১ বলে খেলা ৬৩ রানের ইনিংস গড়া আট চার ও এক ছক্কায়।

বড় জুটি ভাঙলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি পাকিস্তানের ইনিংস। পরের ব্যাটসম্যানরা বড় শট খেলায় বরং বাড়ে রানের গতি। দুই ছক্কা ও এক চারে ৭ বলে ১৯ রান করে ফিরেন সোহেব মাকসুদ।

সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ৮৫ রানে থামেন বাবর। তার ৪৯ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংস সাজানো তিন ছক্কা ও আট চারে।

চারে নেমে ৮ বলে ২৬ রানের খুনে ইনিংস খেলেন ফখর জামান। তার সমান তিন চার ও এক ছক্কায় ১০ বলে ২৪ রান করেন হাফিজ।

বড় রান তাড়ায় এক প্রান্তে ঝড় তোলেন জেসন রয়। অন্য প্রান্তে দ্রুত ফিরেন মালান, জনি বেয়ারস্টো ও মইন আলি।

তিন ছক্কা ও দুই চারে ১৩ বলে ৩২ রান করা রয়কে থামান শাদাব খান। হারিস রউফের বলে ২ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনকে ক্যাচ দিয়েও ছক্কা পেয়ে যান লিভিংস্টোন। তারপর থেকে এই অলরাউন্ডারের তাণ্ডব বয়ে গেছে সফরকারীদের উপর দিয়ে।  

কিন্তু তাকে ঘিরে ইনিংস গড়ে তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। এক ছক্কায় ১৬ রান করে ফিরেন মর্গ্যান। ১১ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ১০ রান করেন লুইস গ্রেগরি। শেষের দিকে ১৬ রানের ইনিংস ব্যবধান কিছুটা কমান ডেভিড উইলি।

দারুণ বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন পেসার হাসনাইন। ৩ উইকেট নেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। খরুচে বোলিংয়ে তিন উইকেট নেন লেগ স্পিানার শাদাব খান।

আগামী রোববার লিডসে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২৩২/৬ (রিজওয়ান ৬৩, বাবর ৮৫, মাকসুদ ১৯, ফখর ২৬, হাফিজ ২৪, আজম ৫*, ইমাদ ৩; উইলি ৪-০-৩৯-১, মাহমুদ ৪-০-৪৬-১, কারান ৪-০-৪৭-২, গ্রেগরি ২-০-২৫-১, পার্কিনসন ৪-০-৪৭-০, লিভিংস্টোন ২-০-২৪-০)

ইংল্যান্ড: ১৯.১ ওভারে ২০১ (রয় ৩২, মালান ১, বেয়ারস্টো ১১, মইন ১, লিভিংস্টোন ১০৩, মর্গ্যান ১৬, গ্রেগরি ১০, উইলি ১৬, কারান ১, মাহমুদ ০*, পার্কিনসন ০; ইমাদ ৪-০-৪৬-১, আফ্রিদি ৩.২-০-৩০-৩, হাসনাইন ৪-০-২৮-১, রউফ ৪-০-৪৪-১, শাদাব ৪-০-৫২-৩)

ফল: পাকিস্তান ৩১ রানে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১-০তে এগিয়ে

ম্যান অব দা ম্যাচ: শাহিন শাহ আফ্রিদি