ওয়ানডে সিরিজের আগে করোনাভাইরাসের হানায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছিল ইংল্যান্ডের মূল দলের সবাইকে। সেখান থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরেছেন ওয়েন মর্গ্যানসহ নয় জন।
এক বিবৃতিতে বুধবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করে ইসিবি। কোভিড-১৯ নেগেটিভ হওয়ার সাপেক্ষেই ক্রিকেটারদের দলে রাখা হয়েছে।
মূল দলের ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে পাওয়া সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান মাহমুদ। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা ওয়ানডে সিরিজে দারুণ বোলিং করেন এই পেসার। তিন ম্যাচে ১৩.৬৬ গড়ে ৯ উইকেট নিয়ে তিনি হন সিরিজ সেরা। গতির সঙ্গে নিখুঁত লাইন-লেংথে আলো ছড়িয়েছেন মাহমুদ, বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে ছিলেন অসাধারণ।
দলের বিপদে ব্যাট হাতে বারবার এগিয়ে এসেছেন গ্রেগরি, বল হাতেও রেখেছেন অবদান। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন কার্যকর ৪০ রানের ইনিংস। সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। শেষ ম্যাচে এজবাস্টনের রেকর্ড ৩৩১ রান তাড়ায় জেমস ভিন্সের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ১২৯ রানের জুটি। ৬৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
মাহমুদ ও গ্রেগরি দুই জনই ওয়ানডেতে নিজেদের মেলে ধরে জায়গা করে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলে। এই সংস্করণে তাদের শেষ ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষেই, গত সেপ্টেম্বরে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে না থাকা উল্লেখযোগ্য নাম স্যাম কারান। যিনি ওই সিরিজে হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। ক্রিস ওকসও নেই এই সিরিজে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে দুই জনের থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
লঙ্কান সিরিজের দলে না থাকা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টন ফিরেছেন দলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে না খেললেও টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা ধরে রেখেছেন পেসার জেইক বল। লেগ স্পিনার ম্যাট পারকিনসনও আছেন এই সিরিজে।
ছুটি বাতিল করে ওয়ানডে সিরিজে ফেরা প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড আবার ফিরে গেছেন পরিবারের কাছে। তার অনুপস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দায়িত্ব পালন করবেন পল কলিংউড।
পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি তিনটি আগামী শুক্র, রবি ও মঙ্গলবার।
ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি দল: ওয়েন মর্গ্যান (অধিনায়ক), মইন আলি, জনি বেয়ারস্টো, জেইক বল, টম ব্যান্টন, জস বাটলার, টম কারান, লুইস গ্রেগরি, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম লিভিংস্টোন, সাকিব মাহমুদ, দাভিদ মালান, ম্যাট পারকিনসন, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ডেভিড উইলি।