মিরাজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ৫ উইকেট

দেশের মাটিতে রেকর্ড যত উজ্জ্বল, বাইরে ততটাই ম্লান। একাদশে তার জায়গা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। নিজের আত্মবিশ্বাসেও হয়তো একটু চোট লেগেছিল। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়ে নিজেকে যেন ফিরে পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2021, 05:42 PM
Updated : 9 July 2021, 05:42 PM

একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশের ১৯২ রানের লিড নেওয়ায় বড় অবদান তরুণ এই অফ স্পিনারের। ৮২ রানে তিনি নেন ৫ উইকেট। তিন বছর পর দেশের বাইরে পেলেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ। এর আগে পেয়েছিলেন একবারই, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে শুক্রবার বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় মিরাজ জানালেন, দেশের বাইরে পাঁচ উইকেট পাওয়ায় এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বোলিং করতে পারবেন তিনি।

“অনেক দিন পর পাঁচ উইকেট পেয়েছি টেস্টে। যখন একটা বোলার পাঁচ উইকেট পায় এটা তাকে অনেক আত্মবিশ্বাস যোগায়। আর দেশের বাইরে যখন পাঁচ উইকেট পায় এটা তো আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দেয়। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলাম আর এবার দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট পেলাম। আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।”

উইকেটে বল একটু নিচু হয়েছে, পরের দিকে টার্নও পেয়েছেন মিরাজ। দিনের শুরুতে তেমন কোনো সহায়তা না থাকায় বেশ ভুগতে হয়েছিল বলে জানালেন তিনি।

“উইকেট একটু বেশি স্লো আর ফ্ল্যাট ছিল। আমাদের স্পিনারদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি, যেন একটা জায়গায় বোলিং করতে পারি এবং রানটা যেন বেঁধে রাখতে পারি। আমরা চেয়েছি, ওরা যেন ভুল করে। এটাই আমরা চেষ্টা করেছি। স্পিনারদের এই জিনিসটা ভালো কাজে লেগেছে।”

বাংলাদেশের ৪৬৮ রান তাড়ায় এক সময়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২২৫। সেখান থেকে ৫১ রান যোগ করতে শেষ ৮ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মিরাজ জানালেন, সে সময় অধিনায়ক মুমিনুল হক প্রতিপক্ষের রান তোলার গতিতে বাঁধ দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

“আমরা যখন ফিল্ডিং শুরু করি, আমাদের অধিনায়ক একটা কথা বলেছিলেন, আমরা স্পিনাররা যেন রানটা বেঁধে রাখি এবং জায়গা মতো বোলিং করি। কারণ, তাদের জুটি হয়ে যাচ্ছিল। লাঞ্চের পরে কিন্তু আমরা খুব ভালো বোলিং করেছি। স্পিনার ও পেসাররা যারাই বোলিং করেছি, খুব ভালো করেছি। রান চেক দিয়েছি।”

“এক সেশনে কেবল (২৯ ওভারে) ৩৫ রান দিয়েছি এবং ৩ উইকেট পেয়েছি। আমাদের জন্য যা অনেক ভালো ছিল। অধিনায়ক বারবার বলছিলেন, উইকেট আসুক আর নাই আসুক আমরা যেন রান বেঁধে রাখি।”