দেশের বাইরে মিরাজের দ্বিতীয় ৫

দেশের মাঠে ধারাল, বিদেশে নির্বিষ। মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং নিয়ে এই অভিযোগ শোনা যায় কান পাতলেই। সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের পথে বাংলাদেশের অফ স্পিনার এগোলেন আরেকটি ধাপ। টেস্টে দ্বিতীয়বার পেলেন দেশের বাইরে ৫ উইকেটের স্বাদ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2021, 03:01 PM
Updated : 9 July 2021, 03:03 PM

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনে মিরাজের শিকার ৮২ রানে ৫ উইকেট। কম যাননি সাকিব আল হাসানও। সমান রান দিয়ে তার শিকার ৪টি। দুই স্পিনারের সৌজন্যে বাংলাদেশ পায় ১৯২ রানের লিড।

৫ উইকেট এই ইনিংসে একসময় ধরাছোঁয়ার বাইরেই মনে হচ্ছিল মিরাজের। বরং ৩ উইকেট নিয়ে এগিয়ে ছিলেন সাকিব। ২৭ ওভার বোলিং শেষেও মিরাজের নামের পাশে উইকেট ছিল ১টি। পরের ৪ ওভারেই তিনি নিয়ে নেন ৪ উইকেট!

প্রথম উইকেটটি আসে প্রথম সেশনে। দলের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উইকেটও নিশ্চিতভাবেই ছিল সেটি। বাংলাদেশকে ভোগাতে তার জুড়ি নেই বরাবরই, সেই ব্রেন্ডন টেইলরের উইকেট!

৬ টেস্ট সেঞ্চুরির ৫টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে করা টেইলর আরেকটি সেঞ্চুরির পথ এগিয়ে যাচ্ছিলেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। মিরাজকে স্লগ করতে গিয়ে জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের ইনিংস থামে ৯২ বলে ৮১ রানে।

প্রথম সেশনে বাংলাদেশের উইকেট ছিল ওই একটিই। দ্বিতীয় সেশনে তাসকিন আহমেদ ও সাকিবের দারুণ বোলিংয়ে মেলে তিন উইকেট। মিরাজ তখনও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না।

জ্বলে উঠলেন তিনি শেষ সেশনে। বাংলাদেশের সামনে বড় বাধা তখন টাকুদজোয়ানাশে কাইটানো। অভিষিক্ত ওপেনার এক প্রান্ত আঁকড়ে রেখে কাটিয়ে দিচ্ছিলেন ওভারের পর ওভার। শেষ পর্যন্ত তার মনোযোগেও চিড় ধরে। মিরাজের টার্ন করে লেগ স্টাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে ফ্লিক করে গিয়ে কাইটানো আউট হন ৩১১ বলে ৮৭ করে।

এরপর জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্ডারকে দাঁড়াতেই দেননি মিরাজ। তীক্ষ্ণ টার্ন করে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ ডনাল্ড টিরিপানো। নিচু হয়ে স্কিড করা বলে বোল্ড ভিক্টর নিয়াউচি। টার্ন করা বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড ব্লেসিং মুজারাবানি।

শেষ ৪ ওভারে ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট!

২৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে অষ্টম উইকেট হয়ে গেল মিরাজের। তাইজুল ইসলামও পেয়েছেন ৮ বার। বাংলাদেশের হয়ে যৌথভাবে দুজন এখন দুইয়ে। ১৮ বার ৫ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে সাকিব।

দেশের বাইরে এই মাইলফলকের দেখা মিরাজ পেয়েছিলেন আগে একবারই, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায় ৯৩ রানে ৫ উইকেট।