জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেকে ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি গড়তে পারলেন কাইটানো। কিন্তু চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার ইনিংসটিকে নিতে পারলেন না তিন অঙ্কে।
হারারের টেস্টের তৃতীয় দিনে তৃতীয় সেশনে কাইটানো আউট হন ৮৭ রানে। অসাধারণ টেম্পারামেন্টের ছাপ রাখা ৩১১ বলের ইনিংসটি শেষ হয় মেহেদী হাসান মিরাজের নির্বিষ এক ডেলিভারিতে আলসে শটে।
অভিষেকে ওপেন করে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি এতদিন ছিল গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের। দেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে ১৯৯২ সালে ভারতের বিপক্ষে ফ্লাওয়ার করেছিলেন ৮২।
দ্বিতীয় দিন চা বিরতির পর ব্যাটিং শুরু করা কাইটানো সেদিন কাটিয়ে তৃতীয় দিনও দুই সেশন টিকে থাকেন। তেমন কোনো সুযোগও তিনি দেননি। আলগা শট খেলেছেন সামান্যই। চা বিরতিতে যান ৮২ রান নিয়ে।
বিরতির পর ইবাদত হোসেনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পেরিয়ে যান ফ্লাওয়ারের রেকর্ড। মন্থর পথচলায় তিন অঙ্ক ছোঁয়া আর হলো না হুট করেই মনোযোগ হারানোয়। মিরাজের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল আয়েশি ভঙ্গিতে ফ্লিক করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে।
অভিষেকে জিম্বাবুয়ের হয়ে সেঞ্চুরিয়ান তাই আপাতত দুজনই থাকল। ১৯৯২ সালে জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে ডেভিড হটন ভারতের বিপক্ষে করেন ১২১। মাসাকাদজা পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ১১৯।
রানের দিক থেকে কাইটানোর ইনিংস তিনে, বল খেলার দিক থেকেও। হটন তার ইনিংসটি খেলেছিলেন ৩২২ বলে, মাসাকাদজা ৩১৬ বলে।