হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন চা বিরতিতে জিম্বাবুয়ের রান প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৪৪। আগের দিন বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৪৬৮ রানে।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসের মেরুদণ্ড কাইটানোর চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ের ইনিংস। দেশের প্রথম ওপেনার হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরির হাতছানি ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের সামনে। ২৮২ বল খেলে অপরাজিত তিনি ৮২ রানে।
এই সেশনে তিন উইকেটের প্রথমটি বাংলাদেশ নিয়েছে দ্বিতীয় নতুন বলের ঠিক আগে, দুটি নতুন বলে।
জিম্বাবুয়ে উইকেটগুলো হারিয়েছে অনেকটা নিজের দোষেই। সুইপ শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়েছেন তিন ব্যাটসম্যান, আরেকজন সুইপের মতোই ম্লগ করতে গিয়েছে। কেবল তাসকিনের উইকেটই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে।
সকালের সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল কেবল এক উইকেট। তবে সেই উইকেট ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেন্ডন টেইলর ছুটছিলেন দারুণ গতিতে। তাকে থামতেও হয় সেই আগ্রাসনের বলি হয়েই। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লগ করতে গিয়ে তিনি ক্যাচ দেন বৃত্তের ভেতরেই স্কয়ার লেগে। বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই দুর্দান্ত পারফর্ম করা ব্যাটসম্যান এবার করেন ৯২ বলে ৮১।
তবে সেই মনোযোগ মায়ার্স ধরে রাখতে পারেননি। সাকিবের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল সুইপ খেলে নিচে রাখতে পারেননি। ফাইন লেগ সীমানায় ক্যাচ নেন মিরাজ। ৬৫ বলে ২৭ রানে থামে মায়ার্সের অভিষেক ইনিংস।
এক ওভার পরই বাংলাদেশ নেয় দ্বিতীয় নতুন বল। তাতে উইকেট ধরা দেয় আরও দুটি।
বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে কাটিয়েও রানের দেখা না পাওয়া টিমাইসেন মারুমা ছটফট করতে করতে আউট হন সাকিবের সোজা বল সুইপ করতে গিয়ে। ১৭ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
সেশনে দুর্দান্ত বল করেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না তাসকিন। অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করেন বেশ কবার। অবশেষে উইকেটের দেখা পান অফ স্টাম্প ঘেঁষা গতিময় ডেলিভারিতেই। রান করতে পারেননি রয় কাইয়াও।
কাইটানো ও রেজিস চাকাভা এরপর কাটিয়ে দেন চা-বিরতি পর্যন্ত। তাসকিনের বলে একটি পুল শটে মিস টাইমিং করা ছাড়া সেভাবে ভুল শট খেলেননি কাইটানো। গোটা সেশনে করেছেন তিনি ১৯ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চা বিরতি পর্যন্ত):
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৬৮
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১১৪/১) ৯৬ ওভারে ২৪৪/৫ (কাইটানো ৮২*, টেইলর ৮১, মায়ার্স ২৭, মারুমা ০, কাইয়া ০, চাকাভা ১০*; তাসকিন ২৪-১০-৩৬-১, ইবাদত ১৫-৫-৫১-০, সাকিব ৩২-৯-৭৪-৩, মিরাজ ২৪-৩-৬৭-১, মুমিনুল ১-০-৩-০)।