হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতে জিম্বাবুয়ের রান প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ২০৯।
সকালের সেশনে ২৬ ওভার খেলে জিম্বাবুয়ে রান তুলেছে ৯৫।
অভিষেকেই দারুণ খেলে ওপেনার টাকুদজোয়ানাশে কাইটানো ব্যাট করছেন ৬৩ রানে। নজর কাড়ার মতো তার টেম্পারামেন্ট, বল খেলে ফেলেছেন ২০০টি!
অভিষিক্ত আরেক ব্যাটসম্যান ডিওস মায়ার্স খেলছেন ২১ রানে।
এই সেশনে জিম্বাবুয়ের একমাত্র হতাশা টেইলরের উইকেট। টেস্টে বাংলাদেশকে পেলেই তিনি বইয়ে দেন রানের জোয়ার। প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে আরও একবার সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। পেস-স্পিন, কিছুই পাত্তা না দিয়ে এগোচ্ছিলেন ওয়ানডের গতিতে। সেই আগ্রাসী মনোভাবই শেষ পর্যন্ত কাল হয় তার। ৯২ বলে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ছুঁড়ে আসেন উইকেট।
সকালে দুই পেসারকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। আগের দিন খুব ভালো করতে না পারা ইবাদত এ দিন শুরুটা করেন দারুণ। তার প্রথম চার ওভারের তিনটিই ছিল মেডেন। খানিকটা রিভার্স সুইংয়ের আভাসও দেখা যায় তার বলে। তবে উইকেট নিতে পারেননি। তাসকিন আহমেদের বলে বার দুয়েক জোরালো আবেদন হলেও পরিষ্কার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি কেউই।
সাকিব-মিরাজকে অনায়াসেই খেলে রান বাড়াচ্ছিলেন টেইলর। তার হাত থেকে নিস্তার মেলে এক মুহূর্তের অমনোযোগীতায়। মিরাজের সাধারণ এক ডেলিভারি পা বাড়িয়ে টেনে স্লগ করার চেষ্টা করেন তিনি। স্কয়ার লেগে ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলি চৌধুরি।
হতাশ টেইলর ফেরেন মাথা নিচু করে। বাংলাদেশ পায় উল্লাসের একটু উপলক্ষ্য। তবে সেটিই শেষ।
অভিষিক্ত মায়ার্স গিয়ে শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করতে থাকেন। তাসকিনকে চোখধাঁধানো স্ট্রেট ড্রাইভে চার মারার পর মিরাজকে ছক্কায় ওড়ান তিনি বেরিয়ে এসে।
আরেক প্রান্তে কাইটানো ১৫৯ বলে ফিফটি ছুঁয়ে আরও এগিয়ে যান দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে। অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপ নিয়েও তাই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে জিম্বাবুয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৬৮
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১১৪/১) ৬৭ ওভারে ২০৯/২ (কাইটানো ৬৩*, টেইলর ৮১, মায়ার্স ২১*; তাসকিন ১৭-৭-৩৭-০, ইবাদত ১৫-৫-৫১-০, সাকিব ১৯-৩-৬৩-১, মিরাজ ১৫-১-৫২-১)।