জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অসাধারণ এই জুটি উপহার দেন দুজন। অনিয়মিত বাঁহাতি স্পিনার মিল্টন শুম্বার বলে স্লগ করতে গিয়ে যখন বোল্ড হলেন তাসকিন, জুটির রান তখন ১৯১। আর মাত্র ৪ রান হলেই স্পর্শ করা যেত বিশ্ব রেকর্ড।
১৯৯৮ সালে গড়া মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্সের রেকর্ড তাই অক্ষত থেকে গেল। পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুজন জোহানেসবার্গে গড়েছিলেন ১৯৫ রানের জুটি।
বাংলাদেশের আগের রেকর্ডটিতেও ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবুল হাসানের সঙ্গে তার জুটি ছিল ১৮৪ রানের। সেই ইনিংসে আবুল হাসান টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে।
সেই জুটি ছাড়িয়ে তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহ পেরিয়ে যান ১৯৬৭ সালে গড়া পাকিস্তানের ইন্তিখাব আলম ও আসিফ ইকবালের ১৯০ রানের জুটিও। কিন্তু পরের ধাপ আর পার হওয়া হলো না।
লোয়ার অর্ডার হয়েও বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মতোই ব্যাটিং করা তাসকিন আউট হয়ে যান ১৩৫ বলে ১১ চারে ৭৫ রান করে।
তাসকিন আউট হওয়ার পরপর বিদায় নেন শেষ ব্যাটসম্যান ইবাদত হোসেনও। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৪৬৮ রানে। মাহমুদউল্লাহ তখন অপরাজিত ১৫০ রানে।
আট নম্বরে নেমে দেড়শ ছোঁয়ার নজির টেস্ট ইতিহাসে এর আগে আছে আর কেবল চারটি।
১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেখুপুরায় ওয়াসিম আকরামের ২৫৭ রানের ইনিংস আটে নেমে সর্বোচ্চ। পাকিস্তানেরই সাবেক কিপার ইমতিয়াজ আহমেদের ২০৯ রানের ইনিংস আছে দুইয়ে, তিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডারের ২০২ এবং চারে পাকিস্তানের কামরান আকমলের ১৫৪।