আইসিসি বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, জুন মাসের সেরার লড়াইয়ে কনওয়ের সঙ্গে আছেন সতীর্থ কাইল জেমিসন ও দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। প্রথমবারের মতো মাস সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেলেন এই দুই দলের ক্রিকেটার।
গত মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্ট ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয় কনওয়ের। প্রথম ইনিংসে ২০০ রান করেন নিউ জিল্যান্ডের এই ওপেনার। ইংল্যান্ডের মাটিতে অভিষেকে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি।
সব মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে সপ্তম ও নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এই পারফরম্যান্সে তিনি গড়েন র্যাঙ্কিংয়ে রেকর্ড। আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে অভিষেকে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৪৭ রেটিং পয়েন্ট পান তিনি।
পরের দুই টেস্টে করেন দুটি ফিফটি। তিন টেস্টের ক্যারিয়ারে ৬৩.১৬ গড়ে রান করেন ৩৭৯।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় নিউ জিল্যান্ড পেসার জেমিসনের জায়গায় হয়েছে মূলত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে। ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলার ওই ম্যাচে ৬১ রানে ৭ উইকেট নিয়ে এই পেসার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। গত মাসে তিন টেস্ট খেলে ১৭.৪০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
মেয়েদের ক্রিকেটে জুন মাসের সেরার লড়াইয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ইংল্যান্ডের সোফি এক্লেস্টোন, ভারতের স্নেহ রানা ও শেফালি বার্মা।
গত মাসে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বল হাতে এক্লেস্টোন ছিলেন দ্যুতিময়। বাঁহাতি এই স্পিনার দুই ইনিংসে উইকেট নিয়েছেন চারটি করে। দলটির বিপক্ষে এরপর দুই ওয়ানডেতে উইকেট নিয়েছেন ছয়টি।
স্নেহের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ওই টেস্টে হার এড়ায় ফলো অনে পড়া ভারত। ৮০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার বল হাতে নেন চার উইকেট। একটি ওয়ানডে খেলে উইকেট পেয়েছেন একটি।
শেফালিরও টেস্টের আঙিনায় পথচলা শুরু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়ে। বিস্ফোরক এই ব্যাটার প্রথম ইনিংসে ৯৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংস করেন ৬৩। প্রথম ভারতীয় ও সব দল মিলিয়ে চতুর্থ নারী ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই ফিফটি করেন তিনি।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।