সেই সুযোগের দিকে তাকিয়ে জিম্বাবুয়েও। দেশের মাঠে ২০১৩ সালের পর থেকে টেস্ট জিততে পারেনি তারা। খরা কাটানোর জন্য বাংলাদেশের চেয়ে উপযুক্ত প্রতিপক্ষ আপাতত আর কে আছে!
টেস্ট ক্রিকেটের তলানির এই দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে হারারেতে, বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু ম্যাচ।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জিম্বাবুয়ে নেই। এটি তাই ‘সাধারণ’ টেস্ট। তবে দুই দলের কাছেই এই লড়াই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অন্য বেশির ভাগ দলের বিপক্ষে যেমনই হোক, অন্তত এই দলের বিপক্ষে জয়ের আশায় মাঠে নামে দুই দলই।
বাংলাদেশের টেস্ট পারফরম্যান্স এই বছর এখনও পর্যন্ত এক কথায় বলা যায় ভয়াবহ। গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খর্বশক্তির দলের বিপক্ষেও দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশড, এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফর প্রথম টেস্ট ড্র করতে পারলেও পরেরটিতে বাজে হার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় অবশ্যই হতাশাগুলি ভুলিয়ে দেবে না, তবে খানিকটা স্বস্তির সুবাতাস অন্তত বইয়ে দেবে।
সেই প্রত্যাশা পূরণে মুমিনুলের ভরসা টিম স্পিরিট।
“শুধু জিম্বাবুয়ে নয়, যে কোনো দলের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেললে, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, তিন দিকই ভালো করতে হয়। ফোকাস রাখতে হয়। সেই সঙ্গে টিমওয়ার্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এদিকটায় ভালো করলে আশা করি টেস্ট জিততে পারব।”
বাংলাদেশের চেয়ে বড় ধাক্কা অবশ্য ম্যাচের আগে হজম করেছে জিম্বাবুয়ে। পরিবারের কোভিড আক্রান্ত সদস্যের সংস্পর্শে আসায় আইসোলেশনে আছেন অধিনায়ক শন উইলিয়ামস ও ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিন। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে অনেকটাই কমে গেছে তাদের ব্যাটিং শক্তি। বড় ভরসা এখন ব্রেন্ডর টেলইর। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কও তিনিই।
জিম্বাবুয়ের ভরসার জায়গা নিজেদের কন্ডিশন ও উইকেট। বাংলাদেশের মাটিতে যেমন স্পিন পরীক্ষায় পড়তে হয় তাদের, এবার তারা বাংলাদেশের জন্য পেস পরীক্ষার আয়োজন করে রাখছে বলেই ইঙ্গিত মিলছে। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টেইলর সরাসরিই বলেছেন, গতিময় ও বাউন্সি উইকেট চান তারা, মন্থর উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশের সুবিধা দেখতে চান না।
বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াই তাদের নিয়মিতই হয়। তবে গত ৮ বছরে সবই হয়েছে বাংলাদেশে। এবার নিজেদের কন্ডিশনে টেইলর ফিরিয়ে দিতে চান ভোগান্তি।
“বছরের পর বছর ধরে ওরা অনেক কঠিন সময় উপহার দিয়েছে আমাদের। এবার তাই দেশে খেলতে পারা এবং এখানে নিজেদের শক্তির জায়গায় খেলতে পারাটা দারুণ। তবে ওদের দলটাও শক্তিতে পূর্ণ। কঠিন চ্যালেঞ্জই আশা করছি। অন্য যে কোনো দলের চেয়ে ওদের সঙ্গে বেশি লড়েছি আমরা। এবারও দারুণ লড়াই হবে। আমি মুখিয়ে আছি মাঠে নামতে।”
টেইলর যেমন বলছেন, লড়াইটা এই ম্যাচে হতে পারে তীব্র। ক্রিকেটীয় মানের দিক থেকে আকর্ষণীয় কিছু হয়তো হবে না। তবে উত্তাপের উপকরণ আছে যথেষ্টই।