জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট এই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। ম্যাচ শুরু বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টা থেকে।
এবারের আগে জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের সবশেষ সফর ছিল ২০১৩ সালে। সেবার এই মাঠেই প্রথম টেস্টে ৩৩৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে প্রায় দুই দিন ব্যাট করে ৩৮৯ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ পারেনি সেই রানের কাছাকাছি যেতেও। প্রথম ইনিংসের ওই ব্যবধানই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
তখন বাংলাদেশের দায়িত্বে ছিলেন না ডমিঙ্গো। তবে বিভিন্ন সময় এই মাঠের অভিজ্ঞতা হয়েছে তারও। এবার বাংলাদেশ দলকে তিনি বাতলে দিলেন এখানে সাফল্যের পথ।
“হারারেতে খেলার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো ধৈর্য। কয়েকবার আমি এখানে এসেছি, স্কোরিং রেট খুব উঁচু নয়। ব্যাটিং হোক বা বোলিং, ধৈর্যের খেলা হবে এখানে। লম্বা সময় চাপ ধরে রাখতে হবে উইকেট নেওয়ার জন্য। এটা এমন ভেন্যু নয়, যেখানে কোনো ব্যাটিং লাইন আপ গুঁড়িয়ে দেওয়া যায় বা এক দিনে সাড়ে তিনশ রান করে ফেলা যায়।”
“কঠিন লড়াইয়ের ক্রিকেট হয় এখানে। ওরা এখানে খুব স্মার্ট ক্রিকেট খেলে। আমরা তাই জানি, আগামী কয়েকদিনে আমাদের কাজ সহজ হবে না। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন ধৈর্য ও শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারি, সুযোগগুলো যেন নিতে পারি। কারণ এখানে সুযোগ খুব সহজে আসবে না। তাই যখন সুযোগ আসবে, তা নিতে হবে।”
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব আশা জাগানিয়া কিছু নয়। ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাঠে খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশড হতে হয়েছে, এপ্রিলে সিরিজ হেরে ফিরতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা থেকে।