বিশ্বকাপের উইকেট ক্যারিবিয়ানের মতো হবে: বাউচার

টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে সিরিজ জয়ের পর আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার। এর পেছনে বড় একটি দিক দেখিয়েছেন তিনি, শেষ মুহূর্তে বদলে যাওয়া বিশ্বকাপের ভেন্যু। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন ক্যারিবিয়ানদের মতোই হবে বলে মনে করেন সাবেক এই উইকেটকিপার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2021, 07:02 PM
Updated : 4 July 2021, 07:19 PM

গত শনিবার গ্রেনাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-২ এ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ এই জয়ের পর বাউচার বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা এই সিরিজের অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগবে আসন্ন বিশ্বকাপে।

ভারতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি দেশটি থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হয় আরব আমিরাত ও ওমানে। ভারতের মাটিতে খেলা হলে স্বভাবতই সেখানে স্পিনারদের গুরুত্ব বেড়ে যেত অনেক। ভেন্যু বদলে গেলেও বাউচার মনে করছেন, স্পিনারদের গুরত্ব তাতে কমবে না। তার ধারণা, বিশ্বকাপের আগে আইপিএলের টানা ম্যাচের ধকলে সেখানকার উইকেট উপমহাদেশের মত স্পিনবান্ধব হয়ে যেতে পারে।

“আমরা সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতেও একই ধরনের কন্ডিশনে খেলব। আইপিএলের পর উইকেট কিছুটা শুকনা থাকবে। দেশের মাটিতে আমরা যেমন উইকেটে খেলি, এটা তেমন হবে না। সেখানে উইকেটে গিয়েই ধুন্ধুমার ব্যাটিং করে ১৮০ থেকে ২০০ রান করা যায়। কিন্তু এখানে স্কিল থাকতে হবে, পাশাপাশি স্মার্টও হতে হবে।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পাঁচটি ম্যাচেই আগে ব্যাট করা দলের স্কোর ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ রানের মধ্যে। প্রতি ম্যাচেই ইনিংসের শেষ ভাগে রান করাটা ছিল বেশ কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাককয়, ডোয়াইন ব্রাভো ও ফাবিয়ান অ্যালেন ইনিংসের শেষ ভাগে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা কমিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, তাবরাইজ শামসি ও জর্জ লিন্ডা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডারের মারকুটে ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন সিরিজ জুড়ে।

বাউচারের মতে, কন্ডিশন বদলে গেলেও বিশ্বকাপেও ইনিংসের শেষ ভাগে রানের গতি মন্থর হতে দেখা যাবে।

“(বিশ্বকাপের আগে) সেখানে আইপিএলের খেলা হবে। সেখানে খুব বেশি মাঠও নেই, তাই উইকেটগুলো পুরনো হয়ে যাবে এবং সম্ভবত (ম্যাচপ্রতি গড় রান) স্কোর আরো কমে যাবে।” 

“ব্যাটিং করাটা কঠিন হবে, বিশেষ করে ইনিংসের শেষের দিকে, যেমনটা আমরা এখানে দেখলাম। স্কোর কেমন হবে, সে ব্যাপারে আইপিএল দেখে আমরা একটা ধারনা পাব।...আমার মনে হচ্ছে স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হবে বিশ্বকাপ। ওমানে প্রাথমিক পর্বের পর আরব আমিরাতে হবে বিশ্বকাপের মূল পর্ব।

আর আইপিএলের বাকি অংশ ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত, আরব আমিরাতে।

সিরিজ জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চিন্তার কারন ডেভিড মিলারের ফর্ম। পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৫২ রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে বাউচার আশাবাদী, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসছে সিরিজেই নিজেকে ফিরে পাবেন মিলার। ইনিংসের শেষ ভাগে মিলারের মতো ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসী ব্যাটিং বিশ্বকাপে দলকে বাড়তি সুবিধা দিবে বলেই মত তার।  

“আমরা যদি ছেলেদের সবাইকে একসাথে জ্বলে উঠতে দেখি, তাহলে আমরা আমাদের সম্ভাব্য সেরা একাদশের ব্যাপারে একটি ধারণা পাব। আর সেটা হলে আমরা ম্যাচে অতিরিক্ত ১৫-২০ রান করতে পারব, যা এই ধরনের কন্ডিশনে রান তাড়ায় প্রতিপক্ষের জন্য খুব কঠিন হবে, বিশেষ করে যখন উইকেট শুকনো থাকব।”