জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন ছিল শুক্রবার। নেটে ঘাম ঝরানোর ফাঁকে বিসিবির ভিডিও বার্তায় তাসকিন শোনালেন তার রোমাঞ্চের কথা।
“আসলে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। খুবই ভালো লাগছে, প্রথমবার জিম্বাবুয়ে এলাম। যদিও বায়ো-বাবলে থাকতে হচ্ছে, তবে সব মিলিয়ে এখানকার ফ্যাসিলিটিজ উপভোগ করছি। অপেক্ষা করছি যে কখন খেলা শুরু হবে।”
“আমাদের অনুশীলন সেশন ভালো হচ্ছে। বোলার, ব্যাটসম্যান সবাই ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামীকাল প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলব। প্রস্তুতি নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকবে না আশা করি। যদিও জিম্বাবুয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলাটা সহজ হবে না। তবে কঠিন কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েই খেলতে হয় আমাদের। কোনো ম্যাচই সহজ নয়। সেরাটা দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে।”
‘বের হয়ে আসতে’ হলে তাসকিন ও পেসারদের রাখতে হবে বড় ভূমিকা। গত মে মাসে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হতাশার সফরে পেস প্রতিকূল কন্ডিশন ও উইকেটেও দলের সেরা পারফরমার ছিলেন তাসকিন। হারারেতে কন্ডিশন অনেক আরামদায়ক, উইকেটও হওয়ার কথা পেস সহায়ক। পেসারদের দায়িত্বও তাই বেশি।
তাসকিন নিজেও অপেক্ষায় টেস্ট ম্যাচের জন্য।
“মৌলিক ব্যাপারগুলো ঠিকঠাক করতে হবে আমাদের। সামনে আমাদের টেস্ট ক্রিকেট, এরপর ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি। একেকটি একেকরকম সংস্করণ, নিজেদের ওভাবেই তৈরি করতে হবে। তবে এখন শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই ফোকাস করছি। টেস্ট ক্রিকেটের ধৈর্য এবং স্কিল, সবকিছু নিয়ে কাজ করছি।”
তাসকিনের পারফরম্যান্সে সাম্প্রতিক উন্নতির পেছনে আছে মাঠের বাইরে নিজেকে বদলে ফেলা। ফিটনেসের উন্নতি, মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির বদল, সবকিছু মিলিয়েই তিনি জীবন ও ক্যারিয়ার সাজানোর চেষ্টা করছেন নতুন ভাবে। ২৬ বছর বয়সী পেসার বললেন, মাঠের বাইরের সেই প্রক্রিয়া মেনেই মাঠের সাফল্যের সন্ধান চালিয়ে যাবেন।
“আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে, তবে এখন উন্নতির জায়গা আছে। আমি আসলে মাঠের বাইরের প্রক্রিয়টাই সবসময় অনুসরণ করছি। ওটাই আমার নিয়ন্ত্রণে আছে, সেখানে শতভাগ দিয়ে যাচ্ছি। এভাবে যদি উন্নতি করতে পারি আরও, তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু হবে এবং এই সিরিজ নিয়েও ভালো কিছু হওয়ার আশাবাদী আমি।”
শনি ও রোববার হারারের হাইফিল্ডে তাকাশিঙ্গা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন তাসকিনরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ শুরু বুধবার থেকে।