তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৮৯ রানে হারিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড। রানের দিক থেকে টি-টোয়েন্টিতে তাদের এর চেয়ে বড় জয় আছে কেবল তিনটি।
৩০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৭৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন মালান। ৪৩ বলে ৫১ রান করেন কিপার-ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টো। দুই দলের আর কেউ ছাড়াতে পারেনি ২০। শতরানের উদ্বোধনী জুটির সৌজন্যে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে ইংল্যান্ড।
আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও ব্যাটিংয়ে ধুঁকেছে শ্রীলঙ্কা। ডেভিড উইলি, স্যাম কারানদের দারুণ বোলিংয়ে দলটি গুটিয়ে গেছে কেবল ৯১ রানে। টি-টোয়েন্টিতে এটি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চতুর্থ সর্বনিম্ন।
সাউথ্যাম্পটনের এজেস বৌলে শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মালান ও বেয়ারস্টোর ব্যাটে দারুণ শুরু পায় ইংল্যান্ড।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনার তোলেন ৪৮ রান। এরপর বাড়ান রানের গতি। তবে ৪১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে বেশি দূর যেতে পারেননি বেয়ারস্টো। দ্বাদশ ওভারে ৫১ রান করে ইসুরু উদানার বলে হন বোল্ড। ভাঙে ১০৫ রানের শুরুর জুটি। স্বাগতিক ওপেনারের ৪৩ বলের ইনিংস গড়া পাঁচ চার ও এক ছক্কায়।
মালানকে খানিকটা সঙ্গ দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। এরপর দুশমন্থ চামিরার ছোবলে ১৬ থেকে ১৯ ওভারের মধ্যে ১৯ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। এর একটি মালান। চার ছক্কা ও পাঁচ চারে ৪৮ বলে ৭৬ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
শেষের দিকে স্যাম কারান ও ক্রিস জর্ডানের ব্যাটে ১৮০ পর্যন্ত যায় ইংল্যান্ডের রান।
১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের সেরা বোলার চামিরা। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার সেরা বোলিং।
রান তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ইংলিশ পেসারদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা।
প্রথম আট ব্যাটসম্যানের মাত্র দুই জন যান দুই অঙ্কে। ২৭ বলে এক ছক্কায় ১৯ রান করেন ওশাদা ফার্নান্দো। ১৯ বলে ১১ রান করেন নিরোশান ডিকভেলা। শেষ দিকে একটি করে ছক্কা ও চারে ২০ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান বিনুরা ফার্নান্দো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮০/৬ (বেয়ারস্টো ৫১, মালান ৭৬, লিভিংস্টোন ১৪, বিলিংস ২, মর্গ্যান ১, মইন ৭, কারান ৯*, জর্ডান ৮*; চামিরা ৪-০-১৭-৪, বিনুরা ৪-০-২৬-১, উদানা ৪-০-৫৫-১, সান্দাক্যান ৪-০-২৮-০, হাসারাঙ্গা ৩-০-৪২-০, শানাকা ১-০-৯-০)
শ্রীলঙ্কা: ১৮.৫ ওভারে ৯১ (গুনাথিলাকা ৪, পেরেরা ৩, ওশাদা ১৯, মেন্ডিস ৬, ডিকভেলা ১১, শানাকা ৭, হাসারাঙ্গা ১, উদানা ০, বিনুরা ২০, সান্দাক্যান ৩*, চামিরা ১; উইলি ৪-০-২৭-৩, ওকস ৪-০-৯-১, জর্ডান ৪-১-১৩-১, কারান ৪-০-১৪-২, রশিদ ১-০-৯-০, লিভিংস্টোন ১-০-৮-১, মইন ০.৫-০-৩-১)
ফল: ইংল্যান্ড ৮৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড
ম্যান অব দা ম্যাচ: দাভিদ মালান
ম্যান অব দা সিরিজ: স্যাম কারান