‘এমন না আবাহনী অটো জিতে গেছে’

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ট্রফি ধরে রেখে শিরোপা জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু তারাই যোগ্য বিজয়ী তো? প্রশ্নটি উঠছে লিগ জুড়ে নানা বিতর্কের কারণেই। যেসবের অনেকগুলোতেই জড়িয়ে আবাহনীর নাম। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বললেন, আবাহনীকে জয়ের জন্য অনেক লড়াই করতে হয়েছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2021, 03:00 PM
Updated : 26 June 2021, 03:00 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার প্রাইম ব্যাংককে ৮ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে ২১তম শিরোপা জেতে আবাহনী।

তবে লিগের অনেক বিতর্কে ঘুরেফিরে এসেছে তাদের নাম। বেশির ভাগ ম্যাচ তাদের ছিল মিরপুরে, ঠাসা সূচির লিগে বিকেএসপিতে ভ্রমণের ধকল তাই তাদেরকে নিতে হয়নি খুব একটা।

সেই ম্যাচগুলির প্রায় সবকটি তারা খেলেছে দুপুর বেলায়, যখন কন্ডিশন সবচেয়ে ভালো থাকে।

লিগজুড়ে আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত যতগুলি ছিল, সেসবের অনেকগুলোই গেছে তাদের আবাহনীর পক্ষে। সেই ধারাবাহিকতা ছিল প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও। দুই দলেরই পয়েন্ট ও জয়সংখ্যা সমান থাকায় পয়েন্ট তালিকার সেরা দুই দলের লড়াই হয়ে গিয়েছিল অঘোষিত ফাইনাল।

ম্যাচের প্রথম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আবাহনীর লিটন দাসের নিশ্চিত এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ। শেষ ওভারে যখন প্রাইম ব্যাংকের প্রয়োজন ১৫ রান, আবাহনীর শহিদুল ইসলামের প্রথম বল ছিল কোমর উচ্চতার ওপরে। তবুও ‘নো’ বল ডাকেননি আম্পায়ার। সে সময় লেগ আম্পায়ার ছিলেন তানভির।

আম্পায়াদের ভুল সিদ্ধান্ত ক্রিকেটে বিরল কিছু নয়। তবে এবারের লিগে অনেক সিদ্ধান্তই আবাহনীর পক্ষে গেছে বলে প্রশ্ন উঠছে, এসব স্রেফ ক্রিকেটীয় ভুল কিনা।

তবে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান, যিনি আবাহনীরও বড় কর্তা, লিগ নিয়ে জানালেন নিজের সন্তুষ্টির কথা।

“খেলাগুলো দেখুন, ছোট-বড় বলে কোনো কথা নেই। কে জিতবে, এটা বোঝার কোন পথ ছিল না। কাগজে-কলমে আবাহনী প্রায় জাতীয় দল ছিল। লিটন, নাঈম, আফিফ, মুশফিক, সাইফ উদ্দিন, মোসাদ্দেক, ওরা তো জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং টি-টোয়েন্টি দলেই খেলে। তারপরও আবাহনীকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এমন না যে অটো জিতে গেছে।”

“আমরা মনে করলেও আসলে কোনো দল ছোট না। খেলাঘরের কাছেও আবাহনী হেরেছে। প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম দোলেশ্বর খুব ভালো দল। সবচেয়ে ভালো বোলিং ছিল প্রাইম ব্যাংকের। মুস্তাফিজ, শরিফুল, রুবেল, এ ধরনের বোলাররা ছিল। কয়েকটা দল ভুগেছে, যেহেতু জাতীয় দলের কিছু তারকা খেলোয়াড় খেলেনি। ওরা খেললে কী হতো, চিন্তা করে দেখুন! অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা হয়েছে। এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য।”