পিএসএলের ফাইনালে নিষিদ্ধ হায়দার-উমাইদ

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) জৈব-সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম ভেঙে বিপাকে পড়েছেন হায়দার আলি ও উমাইদ আসিফ। টুর্নামেন্টের ফাইনালে পেশাওয়ার জালমির এই দুই ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2021, 12:22 PM
Updated : 24 June 2021, 12:22 PM

একই সঙ্গে আসন্ন ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল থেকে তরুণ ব্যাটসম্যান হায়দারের নাম প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান। তার জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে শোয়েব মাকসুদকে।

আবু ধাবিতে মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার পিএসএলের শিরোপার লড়াইয়ে নামবে পেশাওয়ার। এদিন সকালে দুঃসংবাদটি পায় তারা। বিবৃতিতে দুটি সিদ্ধান্তের কথাই নিশ্চিত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

জৈব-সুরক্ষা বলয়ের বাইরের মানুষের সঙ্গে বুধবার দেখা করা ও নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার অভিযোগ ওঠে হায়দার ও উমাইদের বিরুদ্ধে। পরে তা স্বীকারও করে নেন এই দুইজন। এতে পিএসএলের কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা প্যানেল ফাইনালে তাদেরকে নিষিদ্ধ করে।

ওই ঘটনার পর এই দুই জনকে দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা যায়নি। আপাতত তাদের রাখা হয়েছে আইসোলেশনে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল পিএসএলের এবারের আসর। টুর্নামেন্ট চলাকালে ছয় ক্রিকেটারসহ মোট সাত জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হলে মার্চের শুরুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয় টুর্নামেন্টটি। পরে জুনে প্রতিযোগিতা পুনরায় শুরুর আগে সব দলকেই বলয়ের নিয়ম নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা না মেনে বিপাকে পড়লেন হায়দার।

পাকিস্তানের ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন হায়দার। ঘরোয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষেই ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা পাকিস্তান দলের।

হায়দারের জায়গায় দলে আসা মাকসুদ পিএসএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬৩ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৫২.৫২ ও গড় ৪০.৩৩।

পিএসএলে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিল না হায়দারের পারফরম্যান্স। ৯ ম্যাচে ২০.৭৬ গড়ে রান করেছেন কেবল ১৬৬, ফিফটি একটি। সমান ম্যাচে পেসার উমাইদ উইকেট নিয়েছেন ৩৮.২৫ গড়ে ৮টি, ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৯-এর বেশি।