ওয়ানডেকে বিদায় বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান ও’ব্রায়েনের

এক দশক আগে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন আর আয়ারল্যান্ড জিতেছিল সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড গড়ে। সেদিনের ইতিহাস গড়া ও’ব্রায়েন এবার বিদায় বলে দিলেন ওয়ানডে ক্রিকেটকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2021, 01:33 PM
Updated : 18 June 2021, 01:33 PM

পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট থেকে ও’ব্রায়েনের অবসর নেওয়ার বিষয়টি শুক্রবার জানায় ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে খেলা চালিয়ে যাবেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

সিদ্ধান্তটি নিতে কষ্ট হয়েছে ২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া ও’ব্রায়েনের। তবে দীর্ঘ পথচলার পর এই সংস্করণের প্রতি এখন আগের মতো আগ্রহ পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই বিদায়ের পথ বেছে নেওয়াই শ্রেয় মনে হয়েছে তার কাছে।

“আয়ারল্যান্ডের হয়ে ১৫ বছর খেলার পর আমার মনে হয়েছে, এখনই সঠিক সময় সরে দাঁড়ানোর এবং ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার। দেশের হয়ে ১৫৩ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা দারুণ সম্মান ও সৌভাগ্যের। এই স্মৃতি সারাজীবন মনে থাকবে।”

“এটা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, আমার মনে হয় না, অতীতের মতো আমি ওয়ানডে দলে ভূমিকা রাখতে পারব। ওয়ানডে সংস্করণের প্রতি তাড়না ও ভালোবাসা আগের মতো নেই...”

বেঙ্গালুরুতে ২০১১ সালের ২ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা চোখধাঁধানো ইনিংসটিই ও’ব্রায়েনের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। ৩২৭ রান তাড়ায় আয়ারল্যান্ড যখন ১০৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল, উইকেটে নেমে ম্যাচের গতি পাল্টে দেন তিনি।

৫০ বলে সেঞ্চুরি করে গড়ে দেন জয়ের ভিত। যা এখনও টিকে আছে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরি হিসেবে।

ম্যাচটি আয়ারল্যান্ড জিতে যায় ৫ বল আগেই। গড়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। যা সম্ভব হয় ও’ব্রায়েনের ৬৩ বলে ১১৩ রানের সুবাদে। ১৩ চারের পাশাপাশি তিনি মেরেছিলেন ৬ ছক্কা।

ওয়ানডেতে ও’ব্রায়েনের ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। আয়ারল্যান্ডের হয়ে এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি ১৫৩ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার তিনি। ২৯.৪২ গড়ে তার করা ৩ হাজার ৬১৯ রান দলটির তৃতীয় সর্বোচ্চ। সেঞ্চুরি দুটি, ফিফটি ১৮টি। স্ট্রাইক রেটের হিসেবে তিনি আছেন দেশের হয়ে দুইয়ে (৮৮.৭৮)।

পেস বোলিংয়ে ৩২.৬৮ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১১৪টি, যা আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ। দলটির হয়ে ওয়ানডেতে এখনও একশ উইকেটও নেই কোনো বোলারের। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ নিয়েছেন ৬৮টি, সেখানেও তিনি সবার উপরে।