শীর্ষে থেকেই সুপার লিগের অভিযানে প্রাইম ব্যাংক

লক্ষ্য সহজ, রান তাড়ায় প্রাইম ব্যাংকের শুরুটাও হলো দুর্দান্ত। কিন্তু জয়ের কাছে গিয়ে একের পর এক ব্যাটসম্যান যেন হয়ে উঠলেন আত্মঘাতী! ম্যাচের ফল নিয়ে সংশয় অবশ্য জাগল না, কেবল ব্যবধানই কমল। জয় দিয়ে প্রাথমিক পর্বের ইতি টেনে প্রাইম ব্যাংক নিশ্চিত করল শীর্ষে থেকে সুপার লিগে শিরোপার লড়াইয়ে নামা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2021, 07:22 AM
Updated : 17 June 2021, 07:22 AM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির প্রাথমিক পর্বের শেষ দিনে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে হারাল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

১১ ম্যাচে ৯ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক। সমান ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে খেলাঘর রেলিগেশন লিগ এড়াতে তাকিয়ে অন্য ম্যাচে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা খেলাঘর ম্যাচের প্রথম ওভারেই হারায় দুই উইকেট। প্রথম বলে মিস ফিল্ডিং থেক দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় রান আউট হন সাদিকুর রহমান। অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামের করা ওভারটির তৃতীয় বলে সুইপ করে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ।

এক প্রান্তে টিকে থাকেন ওপেনার শাহরিয়ার কমল, আরেক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত। ৯ ওভারে তাদের রান যখন ৪ উইকেটে ৬১, বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। পরে ম্যাচ নেমে আসে ১০ ওভারে। খেলাঘরের ইনিংস থামে ৬৮ রানে।

ডিএলএস পদ্ধতিতে প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ ওভারে ৭৪। রনি তালুকদারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রান তাড়া হয়ে ওঠে আরও সহজ।

অফ স্পিনার রনি চৌধুরির করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই রনি তালুকদার মারেন তিনটি বাউন্ডারি। ওই ওভারেই বেঁচে যান তিনি স্কয়ার লেগ সীমানায় ক্যাচ দিয়ে। পরে ইফরান হোসেনের এক ওভারেও মারেন তিনটি বাউন্ডারি। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে চার ও ছক্কা মারার পর তার ইনিংস শেষ হয় রান আউটে।

১৯ বলে ৩৯ রান করে রনি যখন ফিরছেন, প্রাইম ব্যাংকের রান ৫ ওভারে ৪৮।

বাকি পথটুকু হওয়ার কথা ছিল অনায়াস। কিন্তু এটুকু পেরোতেই বারবার হোঁচট খায় প্রাইম ব্যাংক। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে তামিম আউট হন ১৩ বলে ৯ রান করে।

অধিনায়ক এনামুল হক দারুণ এক ফ্লিকে ছক্কার পর বিদায় নেন ১৬ বলে ১৭ করে। ইফরানের ওই ওভারেই ফিরতি ক্যাচ দেন মোহাম্মদ মিঠুন। উইকেটে গিয়েই রান আউট হয়ে যান নাহিদুল ইসলাম। তিন উইকেটের ওভারের পর রুবেল মিয়ার বাউন্ডারিতে ৫ বল বাকি রেখে শেষ হয় ম্যাচ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

খেলাঘর: ১০ ওভারে ৬৮/৫ (সাদিকুর ১, কমল ৩১*, মিরাজ ০, ফরহাদ হোসেন ৮, রাফসান ১০, সালমান (আহত অবসর) ৮, মাসুম ০, রিশাদ ৪*; নাহিদুল ৩-০-১২-২, শরিফুল ১-০-৪-০, মনির ৩-০-২৪-১, নাঈম ১-০-১২-০, মুস্তাফিজ ২-০-১২-০)।

প্রাইম ব্যাংক: (লক্ষ্য ১০ ওভারে ৭৪) ৯.১ ওভারে ৭৪/৫ (রনি ৩৯, তামিম ৯, এনামুল ১৭, মিঠুন ১, নাহিদুল ১, অলক ০*, রুবেল ৪*; রনি ১-০-১৪-০, মিরাজ ২-০-৫-০, ইফরান ২-০-১৬-২, খালেদ ২-০-৮-০, রিশাদ ১-০-১২-০, মাসুম ১.১-০-১৭-১)।

ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ডিএলএস পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দা ম্যাচ: রনি তালুকদার।