সানিকে ঢিল মারা ও বর্ণবাদী গালির অভিযোগ সাব্বিরের বিরুদ্ধে

মাঠের বাইরে থেকে মাঠে ইলিয়াস সানিকে ঢিল ছোঁড়া ও বর্ণবাদী গালি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে। মাঠেই সানি এই অভিযোগ তোলার পর খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। পরে সানির ক্লাব শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব সাব্বিরের শাস্তি দাবি করে লিখিত অভিযোগ করে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) কাছে। সাব্বির অবশ্য অস্বীকার করছেন অভিযোগ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2021, 01:49 PM
Updated : 16 June 2021, 02:33 PM

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সচিব মো. ফয়েজুর রহমানের স্বাক্ষরিত চিঠি বুধবার পাঠানো হয় লিগ সিসিডিএম চেয়ারম্যান বরাবর। সেই চিঠিতে তুলে ধরা হয় ঘটনার বিবরণ।

“অন্তত দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে, অদ্য ১৬ জুন, ২০২১ তারিখে, বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে লেঃ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব লিমিটেড বনাম ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব-এর মধ্যকার খেলা চলাকালীন লেঃ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব লিমিটেড-এর খেলোয়াড় জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াসকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের খেলোয়াড় জনাব সাব্বির রহমান রুম্মন মাঠের বাইরে হতে বিনা কারণে উপুর্যপুরি ইট ছুঁড়ে মারেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও উচ্চস্বরে বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরণ করে বলেন যে ‘ওই কাইল্যা, কাইল্যা, কাইল্যা ইলিয়াস।”

এই ঘটনা বুধবারের হলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ইলিয়াস সানি জানান, ঘটনার শেকড় আরেকটু পেছনে।

“গত রোববার রূপগঞ্জের সঙ্গে আমাদের ম্যাচ ছিল। সেদিন আমি ব্যাটিংয়ে নামার পরই সাব্বির হুট করে আমাকে খুব বাজে গালি দেয়। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি, ‘তুই কি এটার মানে জানিস?’ তখন সে আবার একই গালি দেয়। তিন দফায় গালি দেয়। তখন আমাদের কয়েকজনের সঙ্গে ওদের কথা কাটাকাটি, স্লেজিং, এসব হয় বেশ।”

“গালিগালাজের পরও আমি মাঠের ঘটনা মাঠেই রেখেছিলাম। আজকে আমাদের খেলা ছিল ওল্ড ডিওএইচএসের সঙ্গে। আমি বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছিলাম। সাব্বিরদের খেলা ছিল দুপুরে। সে ম্যাচ খেলার জন্য মাঠে এসে বাস থেকে নেমেই আমাকে দেখে ‘কাইল্যা, কাইল্যা’, এই ধরনের কথা বলতে থাকে। আমি তবু পাত্তা দেইনি। এরপর সে ঢিল মারে। এক পর্যায়ে আমি আম্পায়ারদের জানাতে বাধ্য হই।”

সানির অভিযোগের পর খেলা বন্ধ থাকে ৫-৭ মিনিট। পরে আবার খেলা শুরু হয়। ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় শেখ জামাল।

সাব্বির অবশ্য এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করলেন।

“আমি বুঝলাম না, এটা কীভাবে সম্ভব? একজন জাতীয় ক্রিকেটার আরেকজনকে ঢিল মারতে পারে! উনি তো আমার বড় ভাই। আগের ম্যাচে উনার সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। উনি হয়তো অন্য মুডে ছিলেন, আমি বুঝতে পারিনি। ডি-এল রানে উনারা একটু পেছনে ছিলেন, আমি তাকে মেরে খেলতে বলি। উনি হুট করে রেগে যান। কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সেসব সমাধান হয়ে যায়।”

“আজকে আমি উনাকে ঢিল মারতে যাব কেন? দুই দলের ৩০টা ক্রিকেটার ওখানে, আমি কি এতই গাধা যে ঢিল মারতে যাব? এটা কি গার্মেন্টসের মারামারি? আমার ওপরে উনার ব্যক্তিগত রাগ থেকে উনি এসব বলতে পারেন। ‘কাইল্যা’ তো উনাকে সবাই বলে। তাকে কে ‘কাইল্যা’ বলেছে, আমি তো জানি না। উনি পেছনে তাকিয়ে আমাকে দেখে হয়তো ভেবেছেন আমিই বলেছি। আর ঢিল… বিকেএসপিতে ঝড়-বৃষ্টি হয়, কোত্থেকে এসেছে…।”

সাব্বির বললেন, তিনিও তার ক্লাবের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করবেন।  

“আমিও ক্লাবের মাধ্যমে বলব যে আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। এক হাতে তালি বাজে না। উনিও আমাকে বাবা-তুলে গালিগালাজ করেছেন। আমি তো এসব অভিযোগ করিনি। আমিও তাহলে আমার ক্লাবকে বলব ব্যবস্থা নিতে।”