ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্টের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বুধবার সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করে আইসিসি।
শীর্ষে থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করেন গত ডিসেম্বরে চূড়ায় ওঠা উইলিয়ামসন। কিন্তু লর্ডস টেস্টে ব্যাট হাতে বাজে সময় কাটে তার; দুই ইনিংস রান করেন কেবল ১৪। কনুইয়ের চোটে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। এরপরই হারালেন শীর্ষস্থান। এক নম্বরে ওঠা স্মিথের (৮৯১) চেয়ে পিছিয়ে আছেন পাঁচ রেটিং পয়েন্টে। পরের তিনটি স্থানে আছেন মার্নাস লাবুশেন, বিরাট কোহলি ও জো রুট।
স্মিথ র্যাঙ্কিংয়ে থাকার সময়ে বিশ্ব জুড়ে হয়েছে ১৬৭ টেস্ট। এই ক্ষেত্রে তার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেবল দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্স ও ভিভ রিচার্ডস। সোবার্স র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় থাকার সময় সব মিলিয়ে খেলা হয়েছিল ১৮৯ টেস্ট, রিচার্ডসের সময় ১৭৯ টেস্ট।
এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮০ রান করা ডেভন কনওয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন চার ধাপ। ইংল্যান্ডের জো বার্নসের সঙ্গে যৌথভাবে আছেন তিনি ৬১তম স্থানে।
ওই ম্যাচে ৮১ রানের ইনিংস খেলা ড্যান লরেন্স এগিয়েছেন ১৬ ধাপ, তবে এখনও সেরা একশতে ঢুকতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ার সেরা ৩৯৬ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ে ১১ ধাপ এগিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তিনি যৌথভাবে আছেন চেতেশ্বর পুজারার সঙ্গে ১২ নম্বরে। এইডেন মারক্রাম দুই ধাপ এগিয়ে ১৪তম।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি ও এজাজ প্যাটেলের। দুই জনই পেয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ব্যবধানে হারানো ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়া ও লুঙ্গি এনগিডি উপরে উঠে এসেছেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া রাবাদা দুই ধাপ এগিয়ে আছেন ৭ নম্বরে। ম্যাচে সাত উইকেট নিয়ে নরকিয়া প্রথমবারের মতো ঢুকেছেন সেরা ত্রিশে। আর এনগিডি প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটের সুবাদে ১৪ ধাপ এগিয়ে আছেন ৪৪তম স্থানে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচ স্থানে আছেন প্যাট কামিন্স, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, টিম সাউদি, জশ হেইজেলউড ও নিল ওয়্যাগনার।
অলরাউন্ডারদের শীর্ষস্থানে নেই পরিবর্তন। আগের মতোই সবার ওপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার।