বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ২০১৫ সালের পর থেকে দেশের দ্বিতীয় সেরা দলটি খেলেছে স্রেফ নয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। ২০১৪ সালের পর থেকে টি-টোয়েন্টি কেবল চারটি।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট নিয়মিতই খেলে। তবে ২০১৫ সালের পর সেই অর্থে বড় কোনো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়নি তাদের। এই সময়ে খেলেছে কেবল শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
২০১৮ সালের পর থেকে নেই ‘এ’ দলের কোনো কার্যক্রম। এই সময়ে জাতীয় দল থেকে অনেকেই বাইরে চলে গেছেন। অনেকে কেবল এক সংস্করণে খেলেন। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট হারার পর বাংলাদেশের প্রধান কোচ প্রশ্ন তুলেছিলেন, জাতীয় দলের বাইরে থাকা কিংবা এক সংস্করণে খেলা ক্রিকেটারদের দেখভাল আসলে কে করে।
বর্তমান বোর্ডের শেষ সভা শেষে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান জানান, আপাতত স্থানীয় কোচরাই দেখবেন জাতীয় দলে জায়গা হারানো ক্রিকেটারদের।
“কিছু দিন আগে আমরা একটা ছায়া জাতীয় দলের কথা বলেছিলাম আপনাদেরকে। আজ বোর্ডে সেটা অনুমোদনও পেয়ে গেল। বাংলাদেশ টাইগার্স নামে একটা ছায়া জাতীয় দল আমরা গঠন করতে যাচ্ছি।”
কেন নতুন এই দল গঠন করতে হচ্ছে, বিসিবি প্রধান দিলেন তার ব্যাখ্যা।
“এটার ব্যাকগ্রাউন্ড হয়ত আপনারা জানেন। তারপরও আরেকবার বলে নিচ্ছি। জাতীয় দলে যারা খেলে তারা যদি কোনো সিরিজে ডাক না পায়...উদাহরণস্বরূপ ইমরুল কায়েস বা সৌম্য সরকার দলে ডাক পায়নি, ওরা নাকি তখন অনুশীলন করার সুযোগ পায় না। আমাদের সুবিধাদি ব্যবহার করতে পারে না। এটা তো একটা বড় সমস্যা।”
“ওরা কোথায় অনুশীলন করবে? ওদের কারও যদি কোনো ঘাটতি থাকে কেউ যদি দল থেকে বাদ পড়ে তাহলে ও শিখবে কোথায়? আমরা ঠিক করেছি, সারা বছর আমাদের এখানে ট্রেনিং চলবে। এখন পর্যন্ত আমাদের ইচ্ছা হচ্ছে স্থানীয় কোচিং স্টাফ থাকবে। এক্ষেত্রে প্রধান কোচের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে।”
ছায়া জাতীয় দলে সারা বছর ধরেই অনুশীলন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানালেন বিসিবি প্রধান। তার মতে, এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে জাতীয় দল।
“ধরুন ওপেনিংয়ে একজন খেলোয়াড় নেই। খেলবে না অথবা চোটে বা কোনো কারণে নেই। তখন আমরা ট্রায়ালের মত একেকদিন একেকজনকে নিয়ে চেষ্টা করি। আজকে একে করি, কালকে ওকে করি।”
“আমাদের যদি প্রস্তুত থাকত, যদি জাতীয় দলে দরকার হয় কে যাবে...এভাবে এক নম্বর, তিন নম্বর, সাত নম্বর-পজিশন অনুযায়ী কোচ চাহিদার কথা বলে দিবে ওই অনুযায়ী আমরা খেলোয়াড়দের সারা বছর ট্রেনিং দিব। যাতে জাতীয় দলের প্রয়োজনে সাথে সাথে বিকল্প হিসেবে চলে যেতে পারে।”