জিম্বাবুয়ে ‘এ’ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের মধ্যকার চারদিনের ম্যাচের মাঝপথেই তা থামিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জিম্বাবুয়ে সরকার নানা রকম বিধি নিষেধ জারি করে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য লকডাউন দিয়েছে।
ম্যাচটি আপাতত বন্ধ করে দিলেও জিম্বাবুয়ে বোর্ড জানিয়েছে, তারা সরকারের কাছে নিজেদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ‘এ’ দলের ম্যাচ শেষ করার অনুমতি জানাবে। পাশাপাশি বিশেষ বিবেচনায় ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ সিরিজ আয়োজনেরও অনুমতি চাইবে। সোমবার এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট নিজেদের অবস্থান জানায়।
“দেশব্যাপী সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস লকডাউনের প্রেক্ষিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট সাময়িকভাবে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ রেখেছে। তবে আমরা সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে আবেদন করেছি, চলমান চার দিনের ম্যাচ শেষ করা এবং আসন্ন আন্তর্জাতিক সিরিজের প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য।”
“আমরা ইতিমধ্যেই মহামারীর মধ্যে জৈব সুরক্ষা বলয়ে সফলভাবে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন করেছি। দর্শকবিহীন মাঠে চলাকালীন খেলার সাথে সরাসরি যুক্ত সবাইকে নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, ক্রিকেট পুনরায় শুরুর জন্য আমাদের প্রস্তুতি এবং অভিজ্ঞতা যথেষ্ট।”
এই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানান, জিম্বাবুয়ে সফর নিয়ে তারা আশাবাদী।
“করোনার সংক্রমণের ফলে ওদের সরকার সব ধরনের খেলা বন্ধ করেছে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড আমাদের জানিয়েছে, তারা ক্রিকেট চালিয়ে নিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। তাদের প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে সকালে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তারা সরকারের সঙ্গে সিরিজ গড়ানোর লক্ষ্যে আলোচনা করছেন এবং তারা আশাবাদী। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তারা সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।”
একটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে চলতি মাসের ২৯ তারিখ জিম্বাবুয়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের।