ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে রোববার ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ১ রানে জিতেছে ব্রাদার্স।
চলতি আসরে বৃষ্টির হানা এই প্রথম নয়। বৃষ্টির বাধায় পণ্ড হয়েছে ম্যাচ, কমেছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। কিন্তু ভেজা উইকেটের জন্য খেলা শেষ হতে না পারার নজির এই প্রথম।
কেন এমন হলো এর একটা ব্যাখ্যা দিলেন বিকেএসপির দুই মাঠের কিউরেটর নুরুজ্জামান নয়ন।
“বৃষ্টিতে খেলা কিছুক্ষণ চলছিল। আম্পায়ার কভারের জন্য ডাক দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই উইকেট ঢেকে দেওয়া হয়। তবুও কিছুক্ষণ সময় লেগে যায়। আমি মাঠ, উইকেট কভার করতে যথেষ্ট সময় পাইনি। বৃষ্টি থামার পর উইকেট দেখে আম্পায়াররা খেলা চালাতে চাননি। এ সিদ্ধান্ত তো আমার নয়। টস হওয়ার পর মাঠে কি হবে না হবে সেসব সিদ্ধান্ত আম্পায়ার নেন। তবে আমার দিক থেকে কোনো গাফিলতি নেই।”
উইকেট ভেজা এমন খবর পেয়ে মাঠে ঢুকে কিউরেটরের সঙ্গে উত্তেজিতভাবে কথা বলতে দেখা যায় শাইনপুকুর কোচ তালহা জুবায়েরকে। কি কথা হয়েছে বলেননি নয়ন।
“অভিযোগ তো সব সময়ই কোনো না কোনো ক্লাব করে। কিছু করার থাকে না আমাদের।”
খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ১৮ ওভারে ব্রাদার্সের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৩২। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ১৯ রান। সম্ভাবনা বেঁচে ছিল দুই দলেরই কিন্তু ভেজা উইকেট জল ঢেলে দিলো সেই রোমাঞ্চে।
১৮ ওভারে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে জয়ের জন্য ব্রাদার্সের প্রয়োজন ছিল ১৩২ রান। দলটি তাই জেতে ১ রানে।
৮ ম্যাচে দলটির চতুর্থ জয়ের নায়ক মিজানুর রহমান। ৫৬ বলে দুই ছক্কা ও ১০ চারে অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংসে এই ওপেনার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
দলকে প্রায় একাই টেনেছেন তিনি। আরেক ওপেনার জুনায়েদ এক চারে ফিরেন ১০ রান করে। নুরুজ্জামান বিদায় নেন দ্রুত, রানের খাতাই খুলতে পারেননি মাইশুকুর রহমান।
রাহাতুল ফেরদৌসও দ্রুত ফিরলে দশম ওভারে ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ব্রাদার্স। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন মিজনুর ও জাহিদুজ্জামান।
দারুণ বোলিংয়ে ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন শাইনপুকুরের বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম।
এর আগে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে শাইনপুকুর।
তানজিদ হাসানের সঙ্গে ৭১ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সাব্বির হোসেন। লম্বা সময় উইকেটে থাকলেও তানজিদের ব্যাটে ছিল না প্রত্যাশিত ঝড়। বাঁহাতি এই ওপেনার ৩১ রান করতে খেলেন ৩৪ বল।
৩৮ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে ৪৪ রান করেন সাব্বির। ক্রিজে গিয়েই শট খেলতে শুরু করা তৌহিদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। তার ৩২ বলের ইনিংসে তিনটি চারের পাশে ছক্কা একটি।
শেষের দিকে দুই ছক্কায় ৩ বলে ১৩ রান করেন সুমন খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শাইনপুকুর: ২০ ওভারে ১৫০/৩ (তানজিদ ৩১, সাব্বির ৪৪, হৃদয় ৪৪*, অঙ্কন ১০, সুমন ১৩*; আলাউদ্দিন ৪-০-২২-০, মানিক ৪-০-২৭-১, সজিব ৩-০-৩৫-০, রাহাতুল ৩-০-১৭-০, সুজন ৩-০-২৬-০, নুরুজ্জামান ১-০-৬-১, নাঈম ২-০-১৫-১)।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ১৮ ওভারে ১৩২/৪ (মিজানুর ৭৯*, জুনায়েদ ১০, নুরুজ্জামান ২, মাইশুকুর ০, রাহাতুল ৯, জাহিদুজ্জামান ২৫*; মুরাদ ৩-০-২৪-০, সুমন ৩-০-৩০-০, রবিউল ১-০-৭-০, মৃত্যুঞ্জয় ৩-০-১৯-১, তানভির ৪-০-১৩-৩, রবিউল ২-০-১৮-০)।
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ১ রানে জয়ী ব্রাদার্স।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মিজানুর রহমান।