ব্যক্তিগত আক্ষেপ সঙ্গী হলেও এই দুজনের সৌজন্যে এজবাস্টন টেস্টে নিউ জিল্যান্ড পেয়ে যায় বড় স্কোরের ভিত। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩০৩ রানের জবাবে কিউইরা দ্বিতীয় দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ২২৯ রানে।
অভিষেক থেকে টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরির অসাধারণ মাইলফলকের সম্ভাবনা জাগিয়ে কনওয়ে আউট হয়ে যান ৮০ রানে। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির আশা শেষ পর্যন্ত হতাশায় মিলিয়ে ইয়াং আউট ৮২ রানে। যেটি হয়ে থাকে দিনের শেষ বল।
ইয়াংকে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির আগে থামিয়ে অনিয়মিত স্পিনার ড্যান লরেন্স পান প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ।
শেষের এই আনন্দের আগে দিনের শুরুর দিকে দীর্ঘশ্বাস সঙ্গী হয়েছে লরেন্সেরও। সপ্তম টেস্ট খেলতে নামা ব্যাটসম্যানও ছুটছিলেন প্রথম সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু সতীর্থরা সঙ্গ দিতে না পারায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে।
৬৭ রান নিয়ে শুক্রবার দিন শুরু করেন লরেন্স, ১৬ রানে মার্ক উড। দুজনের জুটি এ দিন দলকে এগিয়ে নেয় আরও কিছুটা দূর।
অষ্টম উইকেটে দুজনের ৬৬ রানের এই জুটি ভাঙেন ম্যাট হেনরি। ব্যাটের কানায় লেগে উড বোল্ড হন ৪১ রানে।
এরপর স্টুয়ার্ট ব্রড ও জিমি অ্যান্ডারসনকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি ট্রেন্ট বোল্ট। ১৫ রানের মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
ক্যারিয়ার সেরা স্কোরে লরেন্স অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে। কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে ম্যাচ খেলতে নামা বোল্টের শিকার ৪ উইকেট।
নিউ জিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নেমে ধাক্কা খায় শুরুর দিকেই। কেন উইলিয়ামসনের চোটে নেতৃত্ব পাওয়া টম ল্যাথামকে ৬ রানে ফেরান ব্রড।
এরপর কনওয়ে ও লরেন্সের জুটি। উইকেটে যদিও সুইং ও সিম মুভমেন্ট মিলেছে যথেষ্টই। ইংলিশ পেসারদের মধ্যে ব্রড-অ্যান্ডারসন ভালো বোলিং করলেও অন্য দুই পেসার ছিলেন কিছুটা অধারাবাহিক। দারুণ ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের হতাশ করে এগিয়ে যান কনওয়ে ও ইয়াং।
কনওয়ে ফিফটি পেরিয়ে যান আগেই। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি দল।
দারুণ খেলতে থাকা কনওয়ে বিদায় নেন অনেকটা নিজের ভুলেই। ব্রডের বল ফ্লিক করে তুলে দেন স্কয়ার লেগ সীমানায় ফিল্ডারের হাতে। থামে ১২২ রানের জুটি।
অভিষেকে ২০০ ও ২৩ রানের পর এবার কনওয়ের সংগ্রহ ১৪৩ বলে ৮০। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ইনিংস মিলিয়ে ৩০০ রান ছোঁয়া নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান তিনিই।
চা-বিরতির আগে পরে মিলিয়ে ৮ ওভারের টানা স্পেলে ব্রড দেন কেবল ১২ রান। সেই সময়টা পেরিয়ে ইয়াং ও রস টেইলর গড়ে তোলেন আরেকটি জুটি।
দিনের শেষ ওভারে ইয়াংয়ের হৃদয় ভেঙে ৯২ রানের এই জুটিও ভেঙে যায়। লরেন্সের একটু বাড়তি লাফানো বলে শর্ট লেগে ধরা পড়েন ইয়াং। ২০৪ বলে করেন তিনি ৮২।
নিউ জিল্যান্ডের বড় লিডের আশা হয়ে ৪৬ রান নিয়ে উইকেটে টিকে আছেন অভিজ্ঞ টেইলর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৫৮/৭) ১০১ ওভারে ৩০৩ (লরেন্স ৮১*, উড ৪১, ব্রড ০, অ্যান্ডারসন ৪; বোল্ট ২৯-৬-৮৫-৪, হেনরি ২৬-৭-৭৮-৩, ওয়্যাগনার ২১-৬-৬৮-১, মিচেল ১১-২-২৩-০, এজাজ ১৪-৪-৩৪-২)।
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৭৬.৩ ওভারে ২২৯/৩ (ল্যাথাম ৬, কনওয়ে ৮০, ইয়াং ৮২, টেইলর ৪৬*; অ্যান্ডারসন ১৮-৫-৪৫-০, ব্রড ১৫-৫-২২-২, উড ১৪-০-৪৩-০, স্টোন ১৫-৪-৫৮-০, রুট ১৩-৩-৩৯-০, লরেন্স ১.৩-০-৮-১)।