এনামুল-রনির ব্যাটের দাপটে উড়ে গেল রূপগঞ্জ

শুরুর কয়েক ওভারে মনে হলো, উইকেট খুব সহজ নয়। আকাশও তখন বেশ গুমোট। ক্রমে মেঘ সরে আলো ঝলমলে হয়ে উঠল চারপাশ। ২২ গজেও স্ট্রোকের আলো ছড়ালেন এনামুল হক ও রনি তালুকদার। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে রূপগঞ্জকে উড়িয়ে দিল প্রাইম ব্যাংক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2021, 07:02 AM
Updated : 11 June 2021, 07:02 AM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক স্পোর্টস ক্লাবের জয় ১০১ রানে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ইনিংস শুরু করতে নেমে রনি খেলেন ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। শেষ দিকে চার-ছক্কার মেলায় দ্রুত রান তুলে এনামুল অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৬৯ বলে। প্রাইম ব্যাংক ২০ ওভারে করে ১৬৯ রান।

রান তাড়ায় চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় রূপগঞ্জ গুটিয়ে যায় ৬৮ রানেই।

এবারের লিগে এই প্রথম একশর নীচে গুটিয়ে গেল কোনো দল। ১০১ রানের জয়-পরাজয়ের ব্যবধান চলতি লিগের সবচেয়ে বড়।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংকের হয়ে শুরুটা ভালো করতে পারেননি তামিম ইকবাল। নাবিল সামাদকে একটি ছক্কা মারলেও এই বাঁহাতি স্পিনারকেই সুইপ করার চেষ্টায় বোল্ড হন তিনি পায়ের পেছন দিয়ে। ২০ বলে রান তার ১২। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তিনি ফিফটি পেলেন না একটিতেও।

দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ার পাশাপাশি রানের গতিও বাড়ান রনি ও এনামুল। নাবিলের এক ওভারেই দুই চার এক ছক্কার পর সানজামুল ইসলামকে ছক্কা মারেন এনামুল।

এরপর কাজি অনিককে পেয়ে বসেন রনি। এই বাঁহাতি পেসারের এক ওভারে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৩ রান নিয়ে তিনি ফিফটি স্পর্শ করেন ২৮ বলে।

ফিফটির পরপরই মুক্তার আলির স্লোয়ার উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন রনি। মোহাম্মদ মিঠুন নেমে একটি করে চার-ছক্কায় করেন ১৩ বলে ১৮।

রনির বিদায়ের পর এনামুলের রানের গতি কমে যায় কিছুটা। ১৮তম ওভারে তার রান ছিল ৪১ বলে ৪৩। তবে সব পুষিয়ে দেন বাকি সময়টায়। কাজি অনিককে ছক্কা মারার পর মোহাম্মদ শহীদের করা শেষ ওভারে ছক্কা মারেন দুটি।

শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থেকে যান ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৯ করে।

রান তাড়ায় রূপগঞ্জ সামান্য লড়াইও করতে পারেনি। প্রথম ওভারে নাহিদুল ইসলামকে চার-ছক্কা মেরে ওই ওভারেই বিদায় নেন আজমির আহমেদ। সাব্বির রহমান শূন্যতে ফেরেন রুবেল হোসেনকে স্কুপ খেলে। পরের ব্যাটসম্যানরাও টিকতে পারেননি কেউ।

দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল তিন জন ব্যাটসম্যান। তাদের কেউই ছুঁতে পারেননি ২০। ধুঁকতে ধুঁকতে তারা খেলতে পারে ১৮ ওভার পর্যন্ত। প্রাইম ব্যাংকের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমানকে বোলিং করতেই দেখা যায়নি। উইকেটের দেখা পান এমনকি মোহাম্মদ মিঠুনও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

প্রাইম ব্যাংক: ২০ ওভারে ১৬৯/৫ (তামিম ১২, রনি ৫৩, এনামুল ৬৯*, মিঠুন ১৮, অলক ৪, নাহিদুল ২, অমিত ০*; শহীদ ৪-০-৩৭-১, সোহাগ ২-০-১৬-০, নাবিল ৪-০-২৫-১, সানজামুল ৪-০-২০-০, অনিক ২-০-৩৪-০, মুক্তার ৪-০-২৮-৩)।

রূপগঞ্জ: ১৮ ওভারে ৬৮ (আজমির ১২, পিনাক ১, সাব্বির ০, জাকের ১৬, নাঈম ৪, সানজামুল ৭, সোহাগ ৭, মুক্তার ৫, অনিক ০, শহীদ ১৩*, নাবিল ১; নাহিদুল ৪-২-১৫-৩, রুবেল ৪-১-১৭-২, শরিফুল ৩-১-৮-১, নাঈম ৪-০-১৩-২, অলক ২-০-১০-০, মিঠুন ১-০-৫-১)।

ফল : প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১০১ রানে জয়ী।

ম্যান অব দা ম্যাচ : নাহিদুল ইসলাম।