সুইংয়ে কোহলির ভোগান্তি দেখছেন টার্নার

সুইং বোলিংয়ের চ্যালেঞ্জ সবশেষ ইংল্যান্ড সফরেই জিতেছেন বিরাট কোহলি। তবে তাতেই কোহলির চূড়ান্ত জয় দেখছেন না গ্লেন টার্নার। সাবেক এই নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের মতে, কন্ডিশন সুইং বোলিংয়ের অনুকূলে থাকলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বড় পরীক্ষা অপেক্ষায় কোহলি ও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2021, 04:25 AM
Updated : 9 June 2021, 04:26 AM

সুইং বোলিংয়ে কোহলির শুরুর ভোগান্তি ও পরে সাফল্যের পথ বের করা নিয়ে চর্চা হয়েছে অনেক। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে সুইংয়ে নাকাল হয়ে ১০ ইনিংসে কেবল ১৩৪ রান করতে পেরেছিলেন তিনি ১৩.৪ গড়ে। চার বছর পর আবার যখন গেলেন ইংল্যান্ডে, তখন তাকে দেখা গেল ভিন্ন চেহারায়। ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ৫৯.৩০ গড়ে ৫৯৩ রান করে তিনিই ছিলেন সিরিজের সর্বোচ্চ রান স্কোরার।

তবে ২০১৮ সালের সেই ইংল্যান্ড সফরের সাফল্য নয়, টার্নারের চোখে লেগে আছে গতবছর নিউ জিল্যান্ড সফরে কোহলিদের ব্যর্থতা। সেই সিরিজ দেখেই সাবেক নিউ জিল্যান্ড ওপেনার বলছেন, ফাইনালে কাজটি সহজ হবে না কোহলিদের জন্য।

“ কোহলির রিফ্লেক্স কমে গেছে কিনা, তা নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে যদি পিচ ও কন্ডিশন সিম ও সুইং বোলিংয়ের সহায়ক থাকে, অন্যদের মতো কোহলিকেও ভুগতে হবে, গতবছর নিউ জিল্যান্ডে যেমনটি দেখা গেছে।”

“ কন্ডিশনই হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ (ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণে)। ক্রিকেটাররা যেখানে বেড়ে ওঠে, সেখানকার আবহই তার টেকনিক ও স্কিলে বড় ভূমিকা রাখে। ইংলিশ কন্ডিশন অনেকটাই নিউ জিল্যান্ডের কাছাকাছি।”

গত বছর সেই নিউ জিল্যান্ড সফরে দুই টেস্টে চার ইনিংসে কোহলি করেছিলেন কেবল ৩৮ রান। তার ভোগান্তি কোনো একজনের বিপক্ষে ছিল না। চার ইনিংসে তাকে আউট করেন চার কিউই পেসার টিম সাউদি, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, কাইল জেমিসন ও ট্রেন্ট বোল্ট। তারা সবাই আছেন এবারও।

ওই সিরিজে দুর্দশা ছিল ভারতের বাকি সবারও। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ১০২ রান ছিল সিরিজে ভারতের সর্বোচ্চ। চেতেশ্বর পুজারা চার ইনিংসে করেছিলেন ১০০, অজিঙ্কা রাহানে ৯১, হনুমা বিহারি ৮৬, রিশাভ পান্ত ৬০। তারা সবাই এবার আছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।

নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ৪১ টেস্টে ৭ সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান টার্নারের মতে, গত বছরের নিউ জিল্যান্ড সফরেই বোঝা গেছে, সুইংয়ে ভারতীয়দের দুর্বলতা রয়ে গেছে।

“যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে যে ভারতে সিম বোলারদের কিছুটা সহায়তা মেলে, তার পরও তা নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে তুলনীয় নয়। ভারতের গত নিউ জিল্যান্ড সফরেই তা প্রকাশ্য হয়ে ফুটে উঠেছে।”

ভারত-নিউ জিল্যান্ডের আলোচিত এই ফাইনাল সাউথ্যাম্পটনে শুরু আগামী ১৮ জুন।