নিজের অর্জনে গর্বিত অ্যান্ডারসন

বয়স ৩৯ ছুঁই ছুঁই। তবু ক্রিকেটের ২২ গজে জেমস অ্যান্ডারসন ছুটে চলেছেন দোর্দণ্ড প্রতাপে। অনেক দিন ধরে দেশের হয়ে শুধু একটি সংস্করণে খেললেও ছেদ পড়েনি তার পারফরম্যান্সে। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার নতুন রেকর্ড গড়ার আগমুহূর্তে পেছন ফিরে তাকিয়ে এই পেসার গর্বিত নিজের অর্জনে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2021, 04:20 PM
Updated : 8 June 2021, 04:20 PM

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডে অ্যান্ডারসন স্পর্শ করেন অ্যালেস্টার কুককে। এজবাস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে খেললে ছাড়িয়ে যাবেন সাবেক অধিনায়ককে। ম্যাচ শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।

“জানি কুক কত ম্যাচ খেলেছে, তাই এখানে আসতে পেরে আমি গর্বিত।”

২০০৩ সালে লর্ডসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ক্রিকেটের আদি সংস্করণে অভিষেক হয় অ্যান্ডারসনের। অভিষেক ইনিংসেই নেন পাঁচ উইকেট। তবে অ্যান্ডারসন জানতেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে হলে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে তাকে।

“আমার প্রথম বলটিই ছিল ‘নো’ বল এবং বেশ কিছু স্নায়বিক মুহূর্ত ছিল। আমার মনে আছে, নাসের হুসেইন ফাইন লেগে কোনো ফিল্ডার রাখেননি এবং সেখানে অনেক রান হয়েছিল।”

প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়ের প্রতি অসম্মান না জানালেও অ্যান্ডারসন উন্মুখ ছিলেন বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিজেকে প্রমাণ করতে।

“জিম্বাবুয়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মতো বড় দলের বিপক্ষে যখন সাফল্য পাবেন, মনে বিশ্বাস জন্মাবে যে আপনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবেন। কয়েক বছর খেলা এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরে খেলার পর নিজের সামর্থ্য নিয়ে আমার ইতিবাচক উপলদ্ধি হয়েছিল।”

টেস্টে ৬০০ উইকেট নেওয়া প্রথম পেসার অ্যান্ডারসন। ৬১৬ উইকেট নিয়ে আছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় চতুর্থ স্থানে। আর ৪ উইকেট পেলে ছাড়িয়ে যাবেন সাবেক ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলেকে।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক হাজার উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে তার প্রয়োজন আর ৬ উইকেট।