মিঠুনের ফিফটি, রুবেলের ৪ উইকেট

ভালো একটা শুরু এনে দিলেন তামিম ইকবাল। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সেখান থেকে দলকে টানলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ফেরার ম্যাচটা দারুণ বোলিংয়ে রাঙালেন পেসার রুবেল হোসেন। তাদের হাত ধরে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে উড়িয়ে জয়ে ফিরল প্রাইম ব্যাংক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2021, 11:56 AM
Updated : 7 June 2021, 11:56 AM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে সোমবার ৭২ রানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মিঠুনের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে দলটি। রুবেলের চমৎকার বোলিংয়ে ৯৫ রানে থমকে যায় পারটেক্সের ইনিংস।

চার ম্যাচে তৃতীয় জয় পেল প্রাইম ব্যাংক, সমান ম্যাচে পারটেক্স হারল সবগুলোই।

৩৬ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারে মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। নিউ জিল্যান্ড সফরে এপ্রিলে সবশেষ ম্যাচ খেলেন রুবেল। চোট কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন অভিজ্ঞ এই পেসার।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রনি তালুকদারকে হারায় প্রাইম ব্যাংক। মন্থর ব্যাটিংয়ে ২০ বলে ১৬ রান করেন অধিনায়ক এনামুল হক।

রানের চাকা সচল রাখেন তামিম। একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে বাঁহাতি এই ওপেনারকে বিদায় করেন জুবায়ের হোসেন। লেগ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে লেগে ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দেন তামিম। ৩৩ বলে খেলা তার ৪৭ রানের ইনিংসে চারটি চারের পাশে ছক্কা দুটি।

শুরুতে একটু দেখেশুনে খেলছিলেন মিঠুন। প্রথম ১৫ বলে তার রান ছিল ১৮। জুবায়েরকে ছক্কায় ওড়ানোর পর রানের গতিতে দম দেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।

মিঠুনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শেষ ৯ ওভারে ৮৭ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। শেষের দিকে একটি করে ছক্কা ও চারে ৫ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদুল ইসলাম।

একটি ম্যাচের জন্য দেড় বছর অপেক্ষা করতে হলেও পরের ম্যাচটি দ্রুতই পেয়ে গেলেন জুবায়ের। পারটেক্সের এই লেগ স্পিনার ৩ ওভারে ২২ রানে নেন তামিমের উইকেট। প্রথম ২ ওভার জুবায়ের দিয়েছিলেন ৮ রান। শেষ ওভারে ১৪ রান দিয়ে একটু খরুচে হয়ে যান তিনি।

রান তাড়ায় শূন্য রানে হাসানুজ্জামানকে হারায় পারটেক্স। আরেক ওপেনার আব্বাস মুসা আলভি ছিলেন খুনে মেজাজে। তবে তার ইনিংস বড় করতে দেননি রুবেল। বোল্ড করে থামান পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ১৩ বলে ২৯ রান করা মুসাকে।

বিশ ছাড়াতে পারেন পারটেক্সের কেবল আর একজন ব্যাটসম্যান। ২৭ বলে ২৩ রান করা রাজিবুল ইসলামকে বোল্ড করে দেন নাঈম হাসান। ব্যাটিং ব্যর্থতায় একশর নিচেই গুটিয়ে যায় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা পারটেক্স।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক: ২০ ওভারে ১৬৭/৫ (তামিম ৪৭, রনি ৮, এনামুল ১৬, মিঠুন ৫৭*, সানি জুনিয়র ১৮, অলক ৬, নাহিদুল ১৩*; জয়নুল ৪-০-৩৩-১, শাহাদাত ৪-০-২৭-০, মেহরাব ৪-০-৩৬-১, রাজিবুল ৪-০-৩০-১, শাহবাজ ১-০-১৯-০, জুবায়ের ৩-০-২২-১)  

পারটেক্স: ১৭.২ ওভারে ৯৫ (হাসানুজ্জামান ০, মুসা ২৯, তাসামুল ৮, ধীমান ৮, রাজিবুল ২৩, মেহরাব ১২, শাহবাজ ৮, জয়নুল ০, শাহাদাত ২, জুবায়ের ২; নাহিদুল ২.২-০-২৩-২, রুবেল ৪-১-৩০-৪, মুস্তাফিজ ১-০-৬-০, শরিফুল ৩-১-৯-১, অলক ৪-০-১৩-০, নাঈম ৩-০-১৪-২)

ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৭২ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মেদ মিঠুন