সকালে প্রবল বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হওয়ার পর উইকেট শুরুতে একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল বটে। শট খেলা ছিল না সহজ। তবে এতটা কঠিন উইকেটও নয় যে বলপ্রতি রান তোলা যায় না। কিন্তু টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পারটেক্স ১৫ ওভারে করতে পারল কেবল ৭৭ রান।
ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে ৩০ রান এসেছে ৭ বলে। বাকি ৮৩ বলে রান অতিরিক্তিসহ ৪৭!
পরে রোদ পেয়ে আরেকটু সহজ হয়ে আসা উইকেটে ওল্ড ডিওএইএসের দুই ওপেনার রাকিন আহমেদ ও আনিসুল ইসলাম ইমনই শেষ করে আসেন কাজ।
এই ম্যাচের আগে দুই ম্যাচে জয়হীন থেকে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল এই দুই দল। প্রথম জয়ে ডিওএইচএস উঠে গেল একটু ওপরে।
পারটেক্স ধাক্কা খায় ম্যাচের প্রথম ওভারেই। লিগে প্রথম খেলতে নামা হাসানুজ্জামান জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিয়ে আউট হন ম্যাচের প্রথম ওভারে।
আগের দুই ম্যাচে ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে নজর কাড়া আব্বাস মুসা আলভি এ দিনও ইঙ্গিত দেন তেমন কিছুর। তৃতীয় ওভারে আসাদুজ্জামান পায়েলকে দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি কাট করে। কিন্তু এরপর আর ধরে রাখতে পারেননি সেই গতি। অধিনায়ক তাসামুল হকও মেটাতে পারেননি সময়ের দাবি।
২১ বলে ১৭ করে মুসা আউট হন বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ শান্তর বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায়। পরের বলে স্লগ সুইপে ছক্কায় গা ঝারা দেওয়ার আভাস দেন তাসামুল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। ২৫ বলে ১৮ করে আউট হয়ে যান তিনি পরের ওভারেই। রকিবুল হাসানের বাঁহাতি স্পিনে শর্ট থার্ডম্যানে দারুণ ক্যাচ নেন আব্দুর রশিদ।
শেষ দিকে ধীমান ঘোষের ১২ বলে ১৭ রানের ইনিংসে যা একটু বাড়ে রান।
৩ ওভারে মাত্র ৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা রকিবুল হাসান।
সহজ রান তাড়ায় এতটুকু বেগও পেতে হয়নি ওল্ড ডিওএইচএসকে। শুরু থেকেই বাউন্ডারি আসতে থাকে নিয়মিত। পারটেক্সের বাজে বোলিং ফিল্ডিংয়ে সহজ হয় আনিসুল-রাকিনের কাজ।
২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন আনিসুল। ৬ চারে ৩৬ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত রাকিন।
পারটেক্সের শাহাদাত হোসেন ও জুবায়ের হোসেন এ দিন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামেন দেড় বছর পর। ভালো বোলিং করতে পারেননি শাহাদাত, খারাপ করেননি লেগ স্পিনার জুবায়ের। তবে উইকেট পাননি কেউই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স: ১৫ ওভারে ৭৭/৪ (আলভি ১৭, হাসানুজ্জামান ০, তাসামুল ১৮, ইসহারুল ৫, নাজমুল মিলন ১৭*, ধীমান ১৭*; রশিদ ৩-০-২৪-১, রকিবুল ৩-০-৮-২, পায়েল ৩-০-১৬-০, শান্ত ৩-০-১৬-১, আলিস ৩-০-১৩-০)।
ওল্ড ডিওইএচএস: ১১.৩ ওভারে ৭৮/০ (আনিসুল ৩৩*, রাকিন ৪৩*; জয়নুল ২-০-১৩-০, শাহাদাত ২-০-১৬-০, শাহবাজ ২-০-১৫-০, জুবায়ের ৩-০-১৫-০, নিহাদ ১.৩-০-১১-০, তাসামুল ১-০-৭-০)।
ফল: ওল্ড ডিওএইচএস ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: রকিবুল হাসান।