অধিনায়কত্বে ভয় রশিদ খানের

নেতৃত্বের চেয়ে দলের জন্য পারফর্ম করাই রশিদ খানের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনারের ভয়, অধিনায়কত্বের প্রভাব পড়তে পারে তার মাঠের খেলায়। তাই সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েই সন্তুষ্ট তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2021, 04:33 PM
Updated : 3 June 2021, 04:33 PM

আসগর আফগানকে কদিন আগে তিন সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। টেস্ট ও ওয়ানডের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে। তার সহকারীর পদটি পান রহমত শাহ।

টি-টোয়েন্টির অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি আফগান বোর্ড। তবে রশিদ যে আগের ভূমিকায় সহ-অধিনায়ক হিসেবেই থাকছেন, তা নিশ্চিত করছে তারা।

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে রশিদ বলেন, চাপমুক্ত থেকে দলের জন্য ভালো কিছু করতে নেতৃত্বের দায়িত্ব থেকে দূরে থাকাই তার জন্য শ্রেয়।

“আমি নিজের চিন্তা-ভাবনায় সম্পূর্ণ পরিষ্কার যে, আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবে ভালো। সহ-অধিনায়কের ভূমিকায় আমি ঠিকঠাক। যখন আমাকে অধিনায়কের প্রয়োজন আমি সাহায্য করতে প্রস্তুত। এই পদ (অধিনায়ক) থেকে দূরে থাকা আমার জন্যই ভালো।”

“আমি খেলোয়াড় হিসেবে দলের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। অধিনায়ক হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবার চেয়ে আমার পারফরম্যান্স দলের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যা খুবই নিকটে। এখন অধিনায়কের দায়িত্ব নেওয়া আমার জন্য বেশি হয়ে যায়। আমি ভয় পাই যে, দলের হয়ে আমার পারফরম্যান্স, যেটা মূল; তার ওপর এই দায়িত্ব প্রভাব ফেলতে পারে। তাই খেলোয়াড় হিসেবেই আমি সন্তুষ্ট। বোর্ড ও নির্বাচক কমিটি যে সিদ্ধান্তই নেবে, আমি পুরোপুরি সমর্থন দেব এবং মেনে নেব।”

নেতৃত্বের চাপ কেমন, অভিজ্ঞতা আছে রশিদের। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে আফগানিস্তানের নেতৃত্বের পালাবদলে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পান তিনি। দুই মাস পর তিন সংস্করণেরই অধিনায়ক করা হয় তাকে।

রশিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে টেস্টে হারায় আফগানরা। টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবুও আট মাস পরই হারিয়ে ফেলেন অধিনায়কের দায়িত্ব। পান টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়কত্ব।

এই সময়ে অবশ্য রশিদ হারান বোলিংয়ের ছন্দ। নেতৃত্বের সাতটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নিতে পারেন যথাক্রমে ৭টি ও ৯টি। ইকোনমি ও বোলিং গড়ও বেড়ে যায় তখন। দুই টেস্টে অবশ্য তুলনামূলক ভালোই করেন তিনি।

২২ বছর বয়সী রশিদ মনে করেন, বিশাল এই দায়িত্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজন লম্বা সময়ের। তাই এখন যেমন আছেন, তাতেই খুশি তিনি।

“এক বা দুই বছর যদি সময় থাকত, তাহলে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া ও বিষয়গুলো বুঝে নেওয়া যেত। এরপরই কেবল এই দায়িত্ব পালন করা সহজ হতো। আমি একবার অধিনায়ক হয়েছিলাম এবং বোর্ড জানে আমার ভাবনা। আর এই কারণেই তারা জায়গাটি খালি রেখেছে অন্য কারোর জন্য। আমি সহ-অধিনায়ক হিসেবেই থাকছি।”