লন্ডনের টিম হোটেলে সোমবার রাতে জেমিসনের হাতে এই বছরের ‘প্লেয়ার্স ক্যাপ’ তুলে দেন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সম্প্রতি অবসরের ঘোষণা দেওয়া কিপার-ব্যাটার বিজে ওয়াটলিং। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে এখন সেখানে আছে নিউ জিল্যান্ড দল।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন জেমিসন। একই দলের বিপক্ষে ওই মাসেই হয়ে যায় তার টেস্ট অভিষেক। বছরের শেষদিকে খেলেন দেশের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি।
এখন পর্যন্ত ৬ টেস্ট খেলে তার শিকার ১৩.২৭ গড়ে ৩৬ উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট চারবার, ম্যাচে ১০ উইকেট একবার। ৫ ওয়ানডেতে উইকেট পাঁচটি, ৮ টি-টোয়েন্টিতে চারটি।
নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, এবারের ‘প্লেয়ার্স ক্যাপ’ বাছাইয়ে তুমুল লড়াই হয়েছে জেমিসন, উইলিয়ামসন ও কনওয়ের মধ্যে। ২৬ বছর বয়সী জেমিসন এগিয়ে গেছেন মূলত টেস্টে প্রভাববিস্তারী পারফরম্যান্স করে।
এই ‘প্লেয়ার্স ক্যাপ’ পুরস্কার প্রথম জেতেন ব্রেন্ডন ম্যাককলাম, ২০১২ সালে। সবচেয়ে বেশি তিনবার জিতেছেন উইলিয়ামসন, টানা ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত । গত বছর এই পুরস্কার উঠেছিল টিম সাউদির হাতে।
এবার এই স্বীকৃতি পেয়ে জেমিসন নিজেই চমকে গেছেন বেশ।
“এই দলের অংশ হয়ে কাটানো ১২ মাস আমার কাছে বিশেষ কিছু। সবাইকে ধন্যবাদ মানিয়ে নেওয়াটা সহজ করে তোলার জন্য। এটা ( প্লেয়ার্স ক্যাপ পুরস্কার) আমার কাছে খুবই স্পেশাল, আশাই করিনি এমন কিছু। দারুণ কিছু ক্রিকেটার এর আগে পুরস্কারটি জিতেছেন এবং সতীর্থদের কাছ থেকে পাওয়া স্বীকৃতিই চূড়ান্ত।”